২০০৮ সালে লেখা ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ট্রাম্প ইউনিভার্সিটি ব্র্যান্ডিং ১০১’ নামের বইটির শুরুতেই বলা হয়, সত্যি কথা হচ্ছে, আপনি যা বলছেন এবং করছেন তা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া ভূমিকায় লিখেছিলেন, আপনার কাজই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ট্রাম্পের এ কথাগুলো যেন এখন তার দিকেই ছোড়া তীর হিসেবে ছুটে আসছে। গত সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে ট্রাম্প ভক্তদের দাঙ্গা ও সহিংসতার পর এখন অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার ক্যারিয়ার এবং ভাগ্যের কেন্দ্রে থাকা ব্র্যান্ডটি এখন মারাত্মকভাবে সংকটে রয়েছে। এরই মধ্যে তাকে ছেড়ে গেছেন তার রাজনৈতিক দাতারা, যারা অনেক দিন ধরেই তাকে সহায়তা করে আসছিলেন। এছাড়া যেসব প্রযুক্তি কোম্পানি তার কণ্ঠস্বরকে বিস্তৃত করার সুযোগ দিয়েছিল, সেসব ব্যাংক, যারা তার অর্থের নানা দিক দেখাশোনা করত, আমেরিকান গলফ ইন্ডাস্ট্রি, যারা তার ক্লাবে নানা ধরনের ব্যবসা নিয়ে আসত, তারাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। এমনকি যে কানাডিয়ান কোম্পানিটি তার অনলাইন স্টোরগুলো দেখাশোনা করত, তারাও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ট্রাম্প থেকে।

এসব করপোরেট সহযোগীকে নিজের পক্ষে আনার জন্য ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির লেগেছিল চার বছর। কিন্তু এখন ট্রাম্প আবার নিজের ব্যবসায়িক দুনিয়ায় ফিরতে চাইলে এ সহযোগীগুলোর ক্ষমতা আছে তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার।

ব্র্যান্ডিং বিশেষজ্ঞ স্যালি হগশেড বলেন, রাজপ্রাসাদ থেকে বেরোনোর সময় তিনি তাতে আগুন লাগিয়ে দিয়ে এসেছেন। কিন্তু এমনটা করার ফলে তার নিজের ব্র্যান্ড স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো। এ মুহূর্তে ট্রাম্প ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়টি বিশাল অংশের মানুষের কাছে আগের চেয়ে অধিক লজ্জার ব্যাপার হবে। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ট্রাম্প সংস্থা মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

বণিক বার্তা