চলতি বছরের জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকের জন্য আইফোন ১২ মিনি উৎপাদন কমিয়েছে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল। এরই মধ্যে চুক্তিভিত্তিক সরবরাহকারীদের পূর্বনির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ডিভাইসটির উৎপাদন ২০ লাখ ইউনিট কমানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরিবর্তে তুলনামূলক বেশি দামের আইফোন ১২ প্রো ডিভাইসের উৎপাদন বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খবর ৯টু৫ম্যাক।

অ্যাপল পণ্য সরবরাহ শৃঙ্খলের সূত্রমতে, বিশ্বব্যাপী অ্যাপল পণ্য প্রেমীদের হাতে তুলনামূলক কম দামে নতুন আইফোন সরবরাহের লক্ষ্যে গত বছর আইফোন ১২ মিনি উন্মোচন করা হয়। কিন্তু ডিভাইসটি এখন পর্যন্ত খুব একটা সাড়া ফেলতে পারেনি। আইফোন ১২ সিরিজের চার ডিভাইসের মধ্যে দামি সংস্করণগুলোর চাহিদা বেশি। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সাশ্রয়ী সংস্করণের উৎপাদন কমানোর নির্দেশ দিয়েছে অ্যাপল।

কভিড-১৯ মহামারীর কারণে চিপ সংকট দেখা দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে চাহিদা না থাকা আইফোন ১২ মিনির উৎপাদন কমিয়ে আইফোন ১২ প্রোর বাড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশ্ববাজারে ডিভাইস উল্লেখযোগ্য চাহিদা রেকর্ড করা হয়েছে।

পূর্বাভাস ছিল, আইফোন ১২ সিরিজের ফাইভজি সমর্থিত চার ডিভাইস দিয়ে চলতি অর্থবছর অ্যাপলের আইফোন ব্যবসা বিভাগ ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির মুখ দেখবে। অ্যাপল ডিভাইসপ্রেমীদের মধ্যে পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি সমর্থিত আইফোন প্রত্যাশিত ছিল। ফাইভজি আইফোনের অপেক্ষায় থেকে অনেকে ডিভাইস হালনাগাদ করেননি। তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যের হওয়ায় আইফোনের ফাইভজি সংস্করণগুলোর বিক্রি অ্যাপলের প্রত্যাশা ছাড়াবে বলে মনে করা হলেও বাস্তবে চারটি ডিভাইসই একইভাবে গ্রাহক আকৃষ্টে ব্যর্থ হয়েছে।

বণিক বার্তা