নভেল করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে। ইউরোপেও এ কর্মসূচি চলমান। মহাদেশটির দেশগুলোর সরকারপ্রধানরা ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নিচ্ছেন, যার ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে অর্থনীতির ওপর। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেই (এপ্রিল-জুন) ইউরোপের অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার আশা প্রকাশ করছেন ইউরোপিয়ান কমিশনের অর্থনীতিবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট ভালদিস ডমরোভস্কি। খবর রয়টার্স।

গত সোমবার রয়টার্সকে ডমরোভস্কি বলেন, প্রকৃতপক্ষে এটাই আমাদের প্রত্যাশা। বিধিনিষেধ ক্রমান্বয়ে শিথিল করা আর গণহারে টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারব বলে আশাবাদী। আমরা এরই মধ্যে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থনৈতিকভাবে সংহত অবস্থানে পৌঁছে যাওয়ার আশা করছি।

ইউরোজোনের অর্থনীতি গত বছর শেষ তিন মাসে প্রান্তিকওয়ারি শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে এবং অর্থনীতিবিদরা বলছেন, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকেও এটি সংকুচিত হবে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল গত মাসে এক পূর্বাভাসে বলেছে, চলতি বছরের শেষ নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের অর্থনীতি মহামারী-পূর্ব অবস্থায় পৌঁছতে সমর্থ হবে, যদিও ইউরোজোনের সেই অবস্থায় পৌঁছতে আগামী বছর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।


অর্থনৈতিক পোর্টফোলিও আর বাণিজ্য তদারকির দায়িত্বে থাকা ডমরোভস্কি বলেছেন, সাধারণ মানুষের জন্য নভেল করোনাভাইরাসের টিকা ব্যবহারের বিষয়টি অনুমোদন দিতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চেয়ে বেশি সময়ক্ষেপণ করেছেন ইউরোপীয় গণস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। এ কারণে ইউরোপের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার অন্যদের তুলনায় ধীরে হচ্ছে।

বণিক বার্তা