নভেল করোনাভাইরাসের ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক মন্দায় বড় ধরনের লোকসান গুনতে হয়েছে ব্রিটিশ জেট ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক রোলস রয়েসকে। মহামারীর কারণে উড়োজাহাজের ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়। স্থবিরতা দেখা দেয় রোলস রয়েসের ব্যবসায়। ফলে ২০২০ সালে সংস্থাটি ৫৬০ কোটি ডলারের মারাত্মক লোকসানের মুখে পড়ে। খবর বিবিসি।

১৯৬২ সালে রোলস রয়েসের ইঞ্জিন ব্যবহারকারীদের জন্য মূল্য পরিশোধে ‘পাওয়ার বাই দি আওয়ার’ নীতি গ্রহণ করে সংস্থাটি। অর্থাৎ যতক্ষণ এর সেবা গ্রহণ করবে, সে হিসেবে তাদের মূল্য পরিশোধ করতে হবে। এ নীতির আওতায় থাকা অনেক উড়োজাহাজ সংস্থা করোনায় তাদের ফ্লাইট বন্ধ রাখায় রোলসের করপূর্ব লোকসানের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

অর্থাৎ করোনার শুরু থেকেই সংস্থাটির আয়ের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। যেমন এয়ারবাসের ওয়াইড-বডির এ৩৮০ উড়োজাহাজ গত বছর স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় মাত্র ৪৩ শতাংশ ফ্লাইট পরিচালনা করতে পেরেছিল।

এসব কারণে ২০২০ সালকে একটি ‘অভূতপূর্ব বছর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন জেট ইঞ্জিন নির্মাতা সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন ইস্ট। তিনি বলেন, বেসামরিক উড়োজাহাজ ব্যবসার ওপর কভিডের প্রভাব আমরা মারাত্মকভাবে অনুভব করেছি। কভিডকালীন দুর্যোগ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা বেশকিছু জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এর মধ্যে রয়েছে আমাদের ব্যয়ের উপযুক্ত খাতগুলো চিহ্নিত করা, সাম্প্রতিক ব্যয়ের খাতগুলোকে পুনরায় বিবেচনায় আনা এবং বৈশ্বিক উৎপাদন কার্যক্রমগুলো সমন্বয় করা। এছাড়া উৎপাদন ব্যয় কমিয়ে আনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।

বণিক বার্তা