[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1732012865.jpg[/IMG]
চলতি বছর বৈশ্বিক গাড়ি শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চিপ ঘাটতির কারণে একের পর এক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান উৎপাদন সাময়িক বন্ধ কিংবা কমিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেও প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ১ লাখ ৮৫ হাজার গাড়ি সরবরাহের রেকর্ড করেছে টেসলা। বিদ্যুত্চালিত গাড়ি নির্মাতা সংস্থাটির গাড়ি সরবরাহের এ সংখ্যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। টেসলার গাড়ি সরবরাহ ওয়াল স্ট্রিটের প্রাক্কলন ১ লাখ ৬৮ হাজার ইউনিটের চেয়েও ১৭ হাজার বেশি। সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মডেল ওয়াই স্মল স্পোর্ট ইউটিলিটি ভেহিকল (এসইউভি) চীনে অনেক বেশি সরবরাহ হয়েছে।
টেসলা পুরনো মডেল এস সেডান ও এক্স এসইউভি উৎপাদনের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি। তবে দুই হাজারের কিছু বেশি সরবরাহ হয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ক্যালিফোর্নিয়ার ফ্রেমন্টে নতুন সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে এবং কারখানা স্থাপন ও নতুন সংস্করণ তৈরির প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। টেসলার শক্তিশালী এ বিক্রির ফলে একটি বিষয় পরিষ্কার যে মহামারী সত্ত্বেও তুলনামূলকভাবে ব্যয়বহুল গাড়িগুলোর দৃঢ় চাহিদা রয়েছে। ফ্যাক্টসেটের তথ্য অনুযায়ী বিশ্লেষকদের অনুমান, একটি টেসলার গড় মূল্য ৪৯ হাজার ১০০ ডলার। গত বছর টেসলা ইনক মাত্র ৫ লাখ গাড়ি বিক্রি করেছিল। প্রধান নির্বাহী ইলোন মাস্কের পূর্বাভাসের তুলনায় এ সংখ্যা অনেক কম ছিল। চলতি বছরের বিক্রি নিয়ে সংস্থাটি কোনো পূর্বাভাস দেয়নি। বিনিয়োগ সংস্থা ওয়েডবুশের বিশ্লেষক ড্যান আইভেস বলেন, আমরা মনে করি প্রথম প্রান্তিকে চীন ও ইউরোপে টেসলার গাড়ি বিক্রি বেশি ছিল। চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটির গাড়ি বিক্রি ৮ লাখ ৫০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। প্রথম প্রান্তিকে বিক্রি হওয়া সংস্থাটির ছোট গাড়ি মডেল ৩ ও মডেল ওয়াই সবগুলোই ক্যালিফোর্নিয়ার পালো আল্টোতে তৈরি করা হয়েছিল। উভয় মডেল মিলিয়ে ১ লাখ ৮২ হাজার ৭৮০ ইউনিট গাড়ি বিক্রি হয়েছে।