ব্রিটেনের চার শতাধিক আর্থিক সংস্থা ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) স্থানান্তরিত হয়েছে। ব্রেক্সিটের ফলে সৃষ্ট সংকটের কারণে সংস্থাগুলো তাদের কার্যক্রম, কর্মী ও ১ ট্রিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদ ইইউর কেন্দ্রগুলোয় স্থানান্তর করেছে। ব্রিটিশ থিংক ট্যাংক নিউ ফাইন্যান্সিয়ালের সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। এ সংখ্যা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। খবর রয়টার্স।

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আমরা মনে করি, এ গণনা অনেক কম এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ সংখ্যা আরো বাড়বে। আমরা কেবল ব্রেক্সিটের ফল পেতে শুরু করেছি।

আর্থিক পরিষেবাগুলোর জন্য সরাসরি বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ইইউ ব্রিটেনকে সামান্য সুযোগ দিয়েছে, যেগুলো ব্রেক্সিট চুক্তিতে অন্তর্ভুক্ত ছিল না। তবে শিগগিরই এ প্রবেশাধিকার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। সুতরাং এ শিল্পকে ব্রেক্সিটের ক্ষতি গ্রহণ করা এবং যুক্তরাজ্যের কাঠামোটি পুনর্নির্মাণের পরিবর্তে আরো বেশি মনোযোগ দেয়া ভালো। যেন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক পরিষেবা শিল্পের অনন্য প্রকৃতির সঙ্গে এটি আরো উপযুক্ত হয়।

সমীক্ষা বলছে, প্রায় ৭ হাজার ৪০০টি কর্মসংস্থান ব্রিটেন থেকে চলে গেছে কিংবা ইইউতে নতুন কেন্দ্র সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, কভিড-১৯ মহামারীর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার কারণে কিছু কর্মীর স্থানান্তর বিলম্বিত হয়েছে।

ব্রেক্সিট কার্যকরের পর ৪৪০টি সংস্থা ইইউতে স্থানান্তরিত হয়েছে। এটা আগের অনুমান এবং ২০১৯ সালে করা নিউ ফাইন্যান্সিয়ালের জরিপে ২৬৯টি সংস্থা স্থানান্তর প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি। নিউ ফাইন্যান্সিয়াল মনে করে, স্থানান্তর হওয়া সংস্থার সংখ্যা পাঁচ শতাধিক।

বণিক বার্তা