গত মার্চে জাপানের রফতানি পূর্ববর্তী বছরের একই মাসের চেয়ে বেড়েছে ১৬ দশমিক ১ শতাংশ। চীনের বাজারে চাঙ্গা রফতানির জেরে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটির রফতানি তিন বছরের সর্বোচ্চে দাঁড়িয়েছে। গতকাল প্রকাশিত সরকারি উপাত্তে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর কিয়োদো নিউজ।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রাথমিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত মার্চে জাপানের রফতানি হয়েছে ৭ দশমিক ৩৮ ট্রিলিয়ন ইয়েন বা ৬ হাজার ৮০০ কোটি ডলার, যা ২০১৭ সালের নভেম্বরের ১৬ দশমিক ২ শতাংশ সম্প্রসারণের পর সর্বোচ্চ। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির রফতানি কমেছিল ৪ দশমিক ৫ শতাংশ।

গত মার্চে যে রফতানি হয়েছে, তা মহামারীপূর্ব ২০১৯ সালের মার্চের ৭ দশমিক ২০ ট্রিলিয়ন ইয়েনের চেয়ে বেশি। করোনা মহামারীর কারণে গাড়ি ও জাপানে তৈরি পণ্যের চাহিদা সংকোচনের ফলে ২০২০ সালের মার্চে দেশটির রফতানি হয়েছে ৬ দশমিক ৩৬ ট্রিলিয়ন ইয়েন।


দেশওয়ারি চীনে জাপানের রফতানি ৩৭ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ১ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়নে দাঁড়িয়েছে, যা ১৯৭৯ সালের জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ। প্লাস্টিক ও তামার মতো কাঁচামালের শক্তিশালী চাহিদায় চীনে রফতানি রেকর্ড সম্প্রসারিত হয়েছে।


এশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) জাপানের রফতানি বেড়েছে যথাক্রমে ২২ দশমিক ৪ শতাংশ, ৪ দশমিক ৯ শতাংশ ও ১২ দশমিক ৮ শতাংশ। তিনটি অঞ্চলেই জাপানের মাসিক রফতানি ছিল গত দেড় বছরের সর্বোচ্চ।

অন্যদিকে গত মার্চে জাপানের আমদানি ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৭১ ট্রিলিয়ন ইয়েন। এ নিয়ে টানা দুই মাস আমদানি বেড়েছে জাপানের। দেশটির পণ্য বাণিজ্য উদ্বৃত্ত দাঁড়িয়েছে ৬৬ হাজার ৩৭২ কোটি ইয়েন।

বণিক বার্তা