নভেল করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঝড় মোকাবেলা করছে যুক্তরাজ্য। সংক্রমণের হার কমে আসায় দীর্ঘ লকডাউন শেষে গত মাসে বিধিনিষেধ শিথিল করতে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরকার। চলতি মাসের শুরুতে খুলে দেয়া হয় খুচরা পণ্যের দোকান ও রেস্তোরাঁগুলো। এরই মধ্যে দেশটিতে দ্রুতগতিতে বাড়ছে অর্থনৈতিক কার্মকাণ্ড। চলতি মাসে এ বৃদ্ধির গতি সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। খবর ব্লুমবার্গ।

নতুন একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, এপ্রিলে ক্রয় ব্যবস্থাপনা সূচক (পিএমআই) দ্রুতগতিতে বেড়েছে, যা ২০১৩ সালের এপ্রিলের পর সর্বোচ্চ। মার্চেও খুচরা বিক্রি নয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। উভয় সূচকই অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশাকে বিস্তৃত আকারে ছাড়িয়ে গেছে।

এ পরিসংখ্যানগুলো নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘ প্রায় এক বছরের বিধিনিষেধের পর গ্রাহক ও ব্যবসা উভয় পর্যায়েই শক্তিশালী চাহিদার বিষয়টি নির্দেশ করে। ইংল্যান্ডের অর্থ মন্ত্রণালয় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক তিন শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে গভীর মন্দা থেকে দ্রুত পুনরুদ্ধারের প্রত্যাশা করছে। কারণ সরকার টিকাদান কর্মসূচিতে দ্রুত অগ্রগতি অর্জন করেছে।

জার্মানির বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক বেরেনবার্গের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ ক্যালম পিকারিক বলেন, যুক্তরাজ্য এমন একটি দেশ, যেখানে রেকর্ড নিট সম্পদ রয়েছে, শক্তিশালী শ্রমবাজার এবং বাড়তি সঞ্চয়ের সুযোগ রয়েছে। পরিবারগুলো ব্যয় করতে প্রস্তুত ও আগ্রহী। তাই যত দ্রুত বিধিনিষেধগুলো সহজ হবে, ঠিক ততটাই দ্রুত দেশটিতে ব্যয় বৃদ্ধি পেতে যাচ্ছে।

বণিক বার্তা