অ্যাপল ও মাইক্রোসফটের নেতৃত্বে গত অর্থবছর যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে প্রযুক্তি জায়ান্টদের মুনাফা হয়েছে ১০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নতুন কর নীতিমালায় এবার এ মুনাফার ওপর শুল্ক বসানো হতে পারে। খবর ব্লুমবার্গ।

বিশালাকার অবকাঠামো ব্যয় সংকুলানে চলতি মাসে বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর ওপর শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এ পদক্ষেপের প্রধান লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে বড় বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো, যারা তাদের আয়-সৃষ্টিকারী সম্পদ নিম্ন শুল্কের অফশোর এলাকাগুলোতে রাখছেন। প্রযুক্তি শিল্পপ্রতিষ্ঠানগ লো তাদের বড় অংকের মুনাফা ওই দেশগুলোতে স্থানান্তরে পারঙ্গম, যেগুলো বেশ শুল্কবান্ধব এবং যেখানে কঠোর বিধিনিষেধ নেই। বড় আকারের কারখানা বা অন্যান্য সরঞ্জাম স্থানান্তরের চেয়ে সফটওয়্যার কোড, প্যাটেন্ট ও অন্যান্য ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি স্থানান্তর খুব সহজ।

২০১৭ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন কর কর্তন ও শ্রম আইন পাস করেন। তার উদ্দেশ্য ছিল অফশোর তত্পরতা কমানো। কিন্তু এতে তেমন কাজ হয়নি বলে মনে করেন ব্লুমবার্গ ইন্টেলিজেন্সের কর নীতিমালা বিশেষজ্ঞ অ্যান্ড্রু সিলভারম্যান। যেন আইনের ফাকফোকর গলিয়ে শুল্ক এড়াতে না পারে, এজন্য নতুন পরিকল্পনা নিয়ে হাজির হয়েছেন বাইডেন। যদি তা আইনে পরিণত হয়, তাহলে ২০১৭ সালের পাস হওয়া আইনটির অনেক ফাঁকফোকর বন্ধ করে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাইডেন প্রশাসনের এ পদক্ষেপের ফলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সিলিকন ভ্যালির সম্পর্ক আরো তিক্ত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এরই মধ্যে অনলাইনে ভুল তথ্য সম্প্রচার, প্রতিযোগিতা নীতি লঙ্ঘন, গ্রাহকদের তথ্য ফাঁসসহ বিভিন্ন ইস্যুতে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের জেরার মুখে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে প্রযুক্তি জায়ান্টগুলোর।

বণিক বার্তা