বর্তমানে বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রচলিত জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত গাড়ির তুলনায় বেশ ব্যয়বহুল। তবে আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানিচালিত গাড়ির চেয়ে বৈদ্যুতিক গাড়িগুলো সস্তা হবে বলে একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে। কৌশলগত গবেষণা করা ব্লুমবার্গএনইএফে পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৬ সালের মধ্যে বৈদ্যুতিক সেডান ও এসইউভির মতো বড় যানগুলো পেট্রল ও ডিজেল মডেলের গাড়ির উৎপাদনের চেয়ে সস্তা হবে। আর পরের বছরই ছোট গাড়িগুলোর উৎপাদন ব্যয়ও কমে যাবে। খবর ব্লুমবার্গ।

ব্লুমবার্গএনইএফে গবেষণায় উঠে এসেছে, গাড়ি নির্মাতা সংস্থাগুলো উৎপাদন লাইনের সঙ্গে বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য ব্যাটারি উৎপাদন ব্যয় ক্রমাগত কমছে। ফলে আগামী ছয় বছরের মধ্যে কম দামে বৈদ্যুতিক যানবাহন পাওয়া যাবে।

সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বর্তমানে একটি মাঝারি আকারের বৈদ্যুতিক গাড়ির করপূর্ব গড় খুচরা মূল্য ৩৩ হাজার ৩০০ ইউরো। অন্যদিকে একই আকারের পেট্রলচালিত গাড়ির মূল্য ১৮ হাজার ৬০০ ইউরো। ২০২৬ সালে উভয় গাড়ির খুচরা মূল্য ১৯ হাজার ইউরোয় দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।


এছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে বৈদ্যুতিক গাড়ির করপূর্ব খুচরা মূল্য দাঁড়াবে ১৬ হাজার ৩০০ ইউরো। একই সময়ে পেট্রল গাড়ির দাম হবে ১৯ হাজার ৯০০ ইউরো।

বণিক বার্তা