কভিডের অভিঘাত কাটিয়ে পুনরুদ্ধার হচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। কভিডজনিত বিধিনিষেধ শিথিলের এ সময়ে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পণ্যের তুমুল চাহিদা তৈরি হয়েছে। এ চাহিদার বড় একটি অংশ জোগান দিচ্ছে আগেভাগে পুনরুদ্ধার হওয়া চীন। দেশটির উৎপাদন খাত গতিশীল হওয়ায় কাঁচামালের জন্য দেশটিকে বিপুল পরিমাণ আমদানিও করতে হচ্ছে। গত মাসে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বেড়েছে চীনের আমদানি। যদিও প্রত্যাশার তুলনায় পিছিয়ে পড়েছে দেশটির রফতানি। এক্ষেত্রে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান বন্দরগুলোয় কভিডের সংক্রমণ, বৈশ্বিক চিপ সংকট ও ইউয়ানের মূল্যমান বৃদ্ধি রফতানিকে বাধাগ্রস্ত করেছে। খবর রয়টার্স।

ডলারের হিসাবে গত মাসে চীনের আমদানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫১ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। এটা ২০১১ সালের জানুয়ারির পর সবচেয়ে দ্রুততম প্রবৃদ্ধি। যদিও রয়টার্সের জরিপে অর্থনীতিবিদরা ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। অর্থের হিসাবে এ প্রবৃদ্ধিতে বিশ্বজুড়ে কয়লা, ইস্পাত, আকরিক লোহা ও তামাজাতীয় পণ্যগুলোর কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি অবদান রেখেছে।

অর্থনীতিবিষয়ক বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের সিনিয়র চীনা অর্থনীতিবিদ জুলিয়ান ইভান্স-প্রিচার্ড বলেন, মে মাসে মূল্যের হিসাবে আমদানি বৃদ্ধি পেলেও পরিমাণের হিসাবে সম্ভবত কমে গেছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন বাধা কাজ করেছে। এমন সংকটের কারণে চিপ আমদানির চালানও কমে গিয়েছিল।

কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলো দ্রুত পুনরুদ্ধার হচ্ছে। আর এতে চীনা পণ্যের চাহিদা আরো জোরালো হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে কিছু বিষয় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বৈশ্বিক চিপের ঘাটতি, কাঁচামাল ও পরিবহনে উচ্চ ব্যয়, লজিস্টিক বাধা এবং ডলারের বিপরীতে ইউয়ানের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়গুলো বিশ্বের বৃহত্তম রফতানিকারক দেশটির পূর্বাভাসকে কিছুটা ম্লান করে দিয়েছে।

বণিক বার্তা