গত বছর রেকর্ড সর্বোচ্চ হারে বেড়েছে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) বৈশ্বিক বাণিজ্য। এক্ষেত্রে প্রধান জ্বালানি জুগিয়েছে এশিয়ার ঊর্ধ্বমুখী বাজার। তবে করোনা মহামারীতে দেশে দেশে আরোপিত বিধিনিষেধ ওই সময় পণ্যটির চাহিদায় লাগাম টেনে ধরে। ইন্টারন্যাশনাল গ্যাস ইউনিয়নের (আইজিইউ) বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর সব মিলিয়ে ৩৫ কোটি ৬১ লাখ টন এলএনজি বিশ্ববাজারে লেনদেন হয়। ২০১৯ সালের তুলনায় বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়েছে দশমিক ৪ শতাংশ বা ১৪ লাখ টন। যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া গত বছর আন্তর্জাতিক বাজারে সবচেয়ে বেশি এলএনজি সরবরাহ করে। মূলত এ কারণেই বৈশ্বিক বাণিজ্য ত্বরান্বিত হয়।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1550194450.jpg[/IMG]
আইজিইউ জানায়, করোনা মহামারীতে সৃষ্ট সংকটে বৈশ্বিক পণ্যবাজার বড় ধরনের ক্ষতির শিকার হয়। এমন পরিস্থিতিতে যে কয়টি পণ্যের বাণিজ্য ঊর্ধ্বমুখী ছিল তার মধ্যে এলএনজি অন্যতম। তবে জ্বালানি পণ্যটির লেনদেন বাড়লেও শ্লথ গতিতে এগিয়েছে বাণিজ্য। ২০১৯ সালে এলএনজি বাণিজ্য বৃদ্ধির গতি ছিল ১১ দশমিক ৫ শতাংশ বা ৪ কোটি ৯ লাখ টন। তবে এ তুলনায় ২০২০ সালে গতির হার ছিল কম। গত বছর বিশ্বজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে ভয়াবহ প্রভাব পড়ে এলএনজির বাজারে। গ্যাস উত্তোলক ও ব্যবসায়ীরা এ সময় নানা ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়। তবে প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে বাণিজ্য বাড়িয়েছে এলএনজি-সমৃদ্ধ দেশগুলো। এসব দেশের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কাতার। ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশটি বিশ্বের শীর্ষ এলএনজি রফতানিকারক ছিল। কিন্তু ওই বছর দেশটিকে হটিয়ে রফতানিতে শীর্ষে উঠে আসে অস্ট্রেলিয়া। রফতানিতে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরই রাশিয়ার অবস্থান।