এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কভিডজনিত বিধিনিষেধে রয়েছে পুরো বিশ্ব। দীর্ঘ সময় ধরে স্থবির ছিল ভ্রমণ। নিত্যপণ্যের বাইরে বন্ধ ছিল কেনাকাটা। কমে যায় ঘরবন্দি মানুষের ব্যয়ও। ফলে সঞ্চয় বেড়েছে কিছু পরিবারের। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সঞ্চয় জমেছে ব্রিটিশদের হাতে। বিপুল পরিমাণ এ অর্থ মহামারী থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে শক্তি জোগাতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর ব্লুমবার্গ।

১৭টি দেশের ওপর ব্রিটিশ বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইউগভ এ সমীক্ষা চালিয়েছে। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মহামারীতে ব্যয় কমে যাওয়ায় যুক্তরাজ্যে আনুমানিক ২৪ হাজার ৭০০ কোটি ডলার এবং ইউরো অঞ্চলে ৫৯ হাজার ৬০০ কোটি ডলার অতিরিক্ত নগদ অর্থ জমেছে। গৃহস্থালি ব্যয় বাড়াতে পারলে বিপুল পরিমাণ এ অর্থ দেশগুলোর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে পারে। তবে এক্ষেত্রে একটি বড় প্রশ্ন হলো, কত দ্রুত পরিবারগুলো নগদ এ অর্থ ব্যয় করবে?

ইউগভ জানিয়েছে, ২০২০ সালের মার্চ থেকে যুক্তরাজ্যের এক-তৃতীয়াংশ মানুষ সঞ্চয় বাড়িয়েছে। এ সঞ্চয়ের হার ডেনমার্কের সমান। যদিও এটি যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইতালি, স্পেন ও অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় অনেক বেশি। সমীক্ষায় বেশির ভাগ মানুষ বলেছিল, তারা কেবল অতিরিক্ত সঞ্চয়ের একটি অংশ ব্যয় করবে। সমীক্ষায় অংশগ্রহণ করা ১৫ শতাংশেরও কম মানুষ বলেছিল, তারা তাদের নগদ অর্থের বেশির ভাগ অংশ ব্যয় করবে। তবে যুক্তরাজ্যের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা প্রায় ১৭ শতাংশ ছিল।

সমীক্ষাটিতে পরিবারগুলোর অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আশাবাদও উঠে এসেছে। বেশির ভাগ দেশের পরিবার বর্তমানের চেয়ে আগামী ১২ মাসে পরিস্থিতি ভালো হওয়ার প্রত্যাশা জানিয়েছে। তবে ভারতীয় পরিবারগুলো তাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি আঘাতের কথা জানিয়েছে।

বণিক বার্তা