প্রথম প্রান্তিকে নিট আয়ের মাত্র ৮ দশমিক ২ শতাংশ অর্থ ঋণ পরিশোধে ব্যয় করেছিল মার্কিন নাগরিকরা ছবি: ইয়াহু ফাইন্যান্স
কভিড-১৯ মহামারীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে বেশির ভাগ মানুষের আর্থিক অবস্থা। আয় কমে যাওয়ায় সংকটে পড়ে অনেক পরিবার। ফলে ঋণ নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে তাদের। তবে উল্টো চিত্র দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে। মার্কিন নাগরিকদের মোট আয় থেকে ঋণ পরিশোধের হার চার দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমেছে। মার্কিন সরকারের বিপুল পরিমাণ প্রণোদনা বিতরণের কারণে এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) মার্কিন নাগরিকরা কর বাদ দিয়ে নিট আয়ের মাত্র ৮ দশমিক ২ শতাংশ অর্থ ঋণ পরিশোধে ব্যয় করেছিল। দেশটিতে কভিড-১৯ সংক্রমণ ভয়াবহ হওয়ার আগে ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে এ হার ছিল ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। পারিবারিক ঋণের এ অনুপাত ২০০৭ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে শীর্ষ পয়েন্ট ১৩ দশমিক ১২ শতাংশে পৌঁছেছিল। এ সময়ে বন্ধকি ঋণও সর্বোচ্চ পয়েন্ট ৭ দশমিক ২ শতাংশে পৌঁছেছিল।

জৈন ফ্যামিলি ইনস্টিটিউটের সিনিয়র ফেলো ও সাবেক ফেডারেল রিজার্ভ অর্থনীতিবিদ ক্লডিয়া সাহম ইয়াহু ফাইন্যান্সকে বলেন, মন্দার সময়ে এমন চিত্র একেবারেই অস্বাভাবিক। অতীতের মন্দায় নাগরিকরা ঋণ নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার চেষ্টা করেছিল। তবে এবার তারা বাইরেও যায়নি আবার ঋণও গ্রহণ করেনি। যদিও আসন্ন প্রান্তিকে এ অনুপাত আবারো বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বন্ধকি ঋণ ও গ্রাহক ঋণ নিয়ে গঠিত পারিবারিক ঋণ পরিষেবার এ অনুপাতে বড় পতন দুই কারণে চালিত হয়েছিল। প্রথমত, মহামারী চলাকালীন মার্কিন নাগরিকদের কর-পরবর্তী আয়ে বড় উল্লম্ফন দেখা দিয়েছিল। এক্ষেত্রে সরকারি প্রণোদনা ও বেকারত্ব সুবিধা ভূমিকা রেখেছিল। আর এটি আয়ের তুলনায় ঋণ পরিশোধের অনুপাত কমাতে সহায়তা করেছিল।

বণিক বার্তা