[ATTACH]15079[/ATTACH]
কোন কারেন্সি পেয়ার, শেয়ার বা যে কোন অর্থনৈতিক ইন্সট্রুমেন্ট এর টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর সবচেয়ে জনপ্রিয় টুলস হচ্ছে জাপানীজ ক্যান্ডেলস্টিক। যদিও এর মূল ধারণা জাপানে ১৬০০ শতাব্দীর দিকে কিন্তু জাপানের কিংবদন্তি চাল ব্যবসায়ী মুনিহিসা হোমাই এটিকে আজকের রূপ প্রদান করে। হোমা আবিষ্কার করেন যে সাপ্লাই এবং ডিমান্ড এর সাথে সাথে চালের বাজার ট্রেডারদের আবেগ দ্বারাও প্রভাবিত হয়।
হোমা ক্যান্ডেলস্টিকগু ো বিকাশ ঘটিয়েছিলেন যাতে দামের পার্থক্য বুঝাতে বিভিন্ন রঙের ব্যবহার হয়েছিলো। ট্রেডারগন প্রাইজ একশন এর প্যাটার্ন চিহ্নিতকরনে এবং প্রাইজ এর স্বল্প-মেয়াদী ট্রেন্ড এর দিক এ ট্রেডিং সিদ্ধান্ত নিতে ক্যান্ডেলস্টিক এর ব্যবহার করতে পারেন।
চালের কিংবদন্তী ব্যবসায়ী হোমা তৎকালিন সময়ে চালের বাজারে সবচেয়ে প্রভাবশালী ছিলেন এবং তিনি ক্যান্ডেলস্টিক চার্টিং পদ্ধতিটি আবিষ্কার এর জন্যও জনপ্রিয় হয়েছিলেন। ১৮৭০ সালে যখন জাপানে শেয়ার মার্কেট এ ট্রেডিং শুরু হয় তখন স্থানীয় বিষেশজ্ঞগন জাপানীজ ক্যান্ডেলস্টিক কে হোমার ক্যান্ডেলস্টিক পদ্ধতি নামে ট্রেডিং প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। আমেরিকান টেকনিক্যাল এনালিস্ট স্টিভ নিসন তার বই ” জাপানীজ ক্যান্ডেলস্টিক চার্টিং টেকনিকস” বইয়ের মাধ্যমে এই পদ্ধতিটি পশ্চিমা বিশ্বের কাছে পরিচিত করিয়েছিলেন। যে কোন অর্থনৈতিক মার্কেট এর প্রাইজ বিশ্লেষণে এখন সবচেয়ে অধিক জনপ্রিয় চার্টিং সিস্টেম হচ্ছে জাপানীজ ক্যান্ডেলস্টিক চার্টিং।
জাপানীজ ক্যান্ডেলস্টিক এর এনাটমি
জাপানীজ ক্যান্ডেলস্টিক প্রাইজ মুবমেন্ট এর সঠিক এবং বিস্তারিত তথ্যে প্রদান করে যে কোন টাইম ফ্রেমেই, যদি বার চার্ট এর সাথে তুলনায় করা হয়। নিম্নে একটি জাপানীজ ক্যান্ডেলস্টিক এর চিত্রের মাধ্যমে তা কি কি তথ্য প্রদান করে তার বিস্তারিত বর্ননা করা হল।
কোন কারেন্সি পেয়ার, শেয়ার বা যে কোন অর্থনৈতিক ইন্সট্রুমেন্ট এর টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর সবচেয়ে জনপ্রিয় টুলস হচ্ছে জাপানীজ ক্যান্ডেলস্টিক। যদিও এর মূল ধারণা জাপানে ১৬০০ শতাব্দীর দিকে কিন্তু জাপানের কিংবদন্তি চাল ব্যবসায়ী মুনিহিসা হোমাই এটিকে আজকের রূপ প্রদান করে। হোমা আবিষ্কার করেন যে সাপ্লাই এবং ডিমান্ড এর সাথে সাথে চালের বাজার ট্রেডারদের আবেগ দ্বারাও প্রভাবিত হয়।
হোমা ক্যান্ডেলস্টিকগু ো বিকাশ ঘটিয়েছিলেন যাতে দামের পার্থক্য বুঝাতে বিভিন্ন রঙের ব্যবহার হয়েছিলো। ট্রেডারগন প্রাইজ একশন এর প্যাটার্ন চিহ্নিতকরনে এবং প্রাইজ এর স্বল্প-মেয়াদী ট্রেন্ড এর দিক এ ট্রেডিং সিদ্ধান্ত নিতে ক্যান্ডেলস্টিক এর ব্যবহার করতে পারেন।
চালের কিংবদন্তী ব্যবসায়ী হোমা তৎকালিন সময়ে চালের বাজারে সবচেয়ে প্রভাবশালী ছিলেন এবং তিনি ক্যান্ডেলস্টিক চার্টিং পদ্ধতিটি আবিষ্কার এর জন্যও জনপ্রিয় হয়েছিলেন। ১৮৭০ সালে যখন জাপানে শেয়ার মার্কেট এ ট্রেডিং শুরু হয় তখন স্থানীয় বিষেশজ্ঞগন জাপানীজ ক্যান্ডেলস্টিক কে হোমার ক্যান্ডেলস্টিক পদ্ধতি নামে ট্রেডিং প্রক্রিয়ায় অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। আমেরিকান টেকনিক্যাল এনালিস্ট স্টিভ নিসন তার বই ” জাপানীজ ক্যান্ডেলস্টিক চার্টিং টেকনিকস” বইয়ের মাধ্যমে এই পদ্ধতিটি পশ্চিমা বিশ্বের কাছে পরিচিত করিয়েছিলেন। যে কোন অর্থনৈতিক মার্কেট এর প্রাইজ বিশ্লেষণে এখন সবচেয়ে অধিক জনপ্রিয় চার্টিং সিস্টেম হচ্ছে জাপানীজ ক্যান্ডেলস্টিক চার্টিং।
জাপানীজ ক্যান্ডেলস্টিক এর এনাটমি
জাপানীজ ক্যান্ডেলস্টিক প্রাইজ মুবমেন্ট এর সঠিক এবং বিস্তারিত তথ্যে প্রদান করে যে কোন টাইম ফ্রেমেই, যদি বার চার্ট এর সাথে তুলনায় করা হয়। নিম্নে একটি জাপানীজ ক্যান্ডেলস্টিক এর চিত্রের মাধ্যমে তা কি কি তথ্য প্রদান করে তার বিস্তারিত বর্ননা করা হল।
জাপানিজ ক্যান্ডেলস্টিক
প্রতিটি ক্যান্ডেলস্টিক এ মাঝের অংশ, কোন শেয়ার বা কারেন্সি প্রাইজ এর ওপেন এবং ক্লোজিং এর দূরত্ব প্রদর্শন করে,যে এরিয়াটিকে ক্যান্ডেল এর বডি বলে উল্লেখ করা হয়। বডির উপরে যে সেডো রয়েছে তা ওই সময়ের মধ্যে সেই কারেন্সি পেয়ার এর সর্বোচ্চ যে প্রাইজ তার সাথে বডির উপরের অংশের দূরত্ব প্রদর্শন করে। যেখানে নিম্নের ছায়া সেই কারেন্সি পেয়ার এর সেই সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন যে প্রাইজ তার সাথে বডির নিচের অংশের যে দূরত্ব তা প্রদর্শন করে৷
কোন ক্যান্ডেল কি বুল্লিশ নাকি বেয়ারিশ তা নির্ভর করে,একটি শেয়ার বা কারেন্সি প্রাইজ এর ক্লোজিং প্রাইজ এর উপর। কোন কারেন্সি পেয়ার এর প্রাইজ যদি কোন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ( যেমন ১ দিন) ওপেন প্রাইজ এর চেয়ে অধিক প্রাইজ এ ক্লোজ হয় তাহলে ক্যান্ডেলটি বুল্লিশ অর্থাৎ ওই সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ বায়ারদের কাছে। এই ধরনের ক্ষেত্রে ক্লোজিং প্রাইজ রিয়েল বডির উপরের দিকে থাকে এবং ওপেনিং প্রাইজ থাকে নিচের দিকে। যার রঙ সাদা, সবুজ বা আপনি যে কোন রঙ করতে পারেন।
একইভাবে কোন কারেন্সি পেয়ার এর প্রাইজ যদি কোন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ( যেমন ১ দিন) ওপেন প্রাইজ এর চেয়ে নিম্ন প্রাইজ এ ক্লোজ হয় তাহলে ক্যান্ডেলটি বেয়ারিশ অর্থাৎ ওই সময়ের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ সেলারদের কাছে। এই ধরনের ক্ষেত্রে ক্লোজিং প্রাইজ রিয়েল বডির নিচের দিকে থাকে এবং ওপেনিং প্রাইজ থাকে উপরের দিকে।
যার রঙ কালো, লাল বা আপনি যে কোন রঙ করতে পারেন।
কিভাবে ক্যান্ডেলস্টিক রিড করতে হবে
ক্যান্ডেলস্টিক এর বডি এবং এর শেডো বা উইকস এর আকার মার্কেট এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে এবং এর ভবিষ্যৎ গন্তব্য সম্পর্কে অনেক তথ্য প্রদান করে। ক্যান্ডেলস্টিক এর বডির লেন্থ প্রদর্শন করে যে কোথায় মার্কেট এর অধিকাংশ ট্রেড সংগঠিত হয়েছে। একটি ক্যান্ডেলস্টিক এর বডি যদি বেশ দীর্ঘ হয় এর মানে হল মার্কেট কোন একটি নির্দিষ্ট দিকে প্রচুর ভলিউম এর সাথে ট্রেড হয়েছে, যখন একটি ছোট বডি কম ট্রেডিং এর ইংগিত প্রদান করে।
আমাদের উদাহরণ এ আপনি লক্ষ্য করবেন যে কোন আপ ক্যান্ডেল সবুজ রঙের, অর্থাৎ এই সময়ে ওই কারেন্সির ক্লোজিং প্রাইজ তার ওপেনিং প্রাইজ এর তুলনায় উপরে ছিল। কোন ডাউন ক্যান্ডেলস্টিক লাল রঙ দ্বারা প্রদর্শিত হয়, যার মানে হল এই নির্দিষ্ট সময়ে উক্ত কারেন্সির ক্লোজিং প্রাইজ ছিল ওপেনিং প্রাইজ অপেক্ষা নিচে। আপনি এমনও দেখতে পারেন যে সাদা ক্যান্ডেলস্টিক বুল্লিশ এবং কালো ক্যান্ডেলস্টিক দ্বারা বেয়ারিশ অবস্থা প্রকাশ করা হয়।
নিম্নে লং, শর্ট বডি এবং শেডো/ উইকস এর উদাহরণ আকারে প্রকাশ করা হয়েছে
শেডোর আকার এবং উপস্থিতিও মার্কেট এর দিক সম্পর্কে ধারণা প্রদান করে। লং শেডো/ উইকস প্রদর্শন করে যে নির্দিষ্ট সময়ে প্রাইজ ওপেনিং এবং ক্লোজ থেকে অনেক দূরত্ব অতিক্রম করেছে যা মার্কেট এর অস্থির অবস্থার ধারণা দেয়। যেখানে শর্ট শেডো প্রদর্শন করে যে নির্দিষ্ট সময়ে প্রাইজ ওপেনিং এবং ক্লোজ থেকে স্বল্প দূরত্ব অতিক্রম করেছে যা মার্কেট এর শান্ত অবস্থার ধারণা দেয়। সাধারণত দীর্ঘ ক্যান্ডেলগুলো বড় পরিবর্তন এর আভাস প্রদান করে ছোট শেডো গুলো স্বল্প ট্রেডিং কার্যক্রম এর ইংগিত প্রদান করে।
ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট এর সুবিধাসমূহ
টেকনিক্যাল এনালাইসিস এ সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ব্যবহৃত টুলস হচ্ছে জাপানীজ ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট। অধিকাংশ ট্রেডারগন ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট এর ব্যবহার করেন যার কারণ হিসেবে তারা মনে এটি তাদের সহায়তা করতে পারেঃ
১. মার্কেট এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে এক নজরে ধারণা লাভ করা। শুধুমাত্র ক্যান্ডেলস্টিক এর রঙ এবং লেন্থ দেখেই একজন ট্রেডার মূহুর্তের মধ্যেই বুঝতে পারেন যে মার্কেট কি শক্তিশালী হচ্ছে (বুল্লিশ হওয়া) নাকি দুর্বল হচ্ছে (বেয়ারিশ হওয়া)
২. দেখেই খুবই সহজে মার্কেট এর দিক বুঝতে পারেন। ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট এ ক্যান্ডেল এর রঙ এবং আকার একজন ট্রেডারকে এটি বুঝতে সহযোগিতা করে যে কোন আপট্রেন্ড কি বুল্লিশ মোমেন্টাম এর অংশ নাকি শুধুমাত্র বেয়ারিশ স্পাইক।
৩. মার্কেট এর প্যাটার্ন দ্রুত চিহ্নিতকরনে। কেবলমাত্র ক্যান্ডেলস্টিক চার্টে ই নির্দিষ্ট কিছু বেয়ারিশ এবং বুল্লিশ রিভার্সাল প্যাটার্ন লক্ষ্য করা যায়।
সারসংক্ষেপ
স্টিভ নিসন ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট কে ওয়েস্টার্ন ওয়ার্ল্ড এ এর সহজ পরিচিত করানোর পর থেকে এখন এটিই টেকনিক্যাল এনালাইসিস এর সবচেয়ে ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় চার্টিং সিস্টেম। যে কোন মার্কেটই আপনি ট্রেড করেন না কেন জাপানিজ ক্যান্ডেলস্টিক চার্ট আপনাকে ট্রেডিং সিদ্ধান্ত গ্রহনে বা স্ট্রেটিজি তৈরি করতে খুবই সহযোগী হতে পারে। তাই আপনার সফল ট্রেডিং ক্যারিয়ার গঠনে ক্যান্ডেলস্টিক জানা এবং বুঝা অত্যন্ত জরুরি।