গত বসন্তে কম্পিউটার চিপের ঘাটতি স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ির দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল। কভিডজনিত কারণে চিপ উৎপাদন কারখানা প্রভাবিত হওয়ায় এমন সংকট তৈরি হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি উন্নত হতে শুরু করে। চলতি বছরের শেষ দিকেই অটোমোবাইল শিল্প পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরার আশা করছিল। স্বস্তি ফিরছিল ভোক্তাদের মধ্যে। তবে সেই আশা এখন ম্লান হয়ে গেছে। প্রধান চিপ উৎপাদনকারী এশিয়ার দেশগুলোতে কভিডের ডেল্টা ধরনের সংক্রমণ পুনরুত্থান চিপের ঘাটতি আরো বাড়িয়ে তুলেছে। এ কারণে আকাশছোঁয়া উচ্চতায় পৌঁছেছে গাড়ির দাম। এপির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন করে চিপের ঘাটতি গাড়ি উৎপাদন প্রাক-কভিড স্তরে ফিরতে বাধা দিচ্ছে এবং গাড়ির সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িকভাবে উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। আর কেবল চিপ নয়, ঘাটতি তৈরি হয়েছে অন্যান্য যন্ত্রাংশেরও। বিশ্লেষকরা বলছেন, সরবরাহ কমে যাওয়ায় ভোক্তা পর্যায়ে গাড়ির দাম রেকর্ড স্তরে পৌঁছেছে। এক্ষেত্রে নতুন ও রিকন্ডিশন্ড উভয় গাড়ির দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে গাড়ি ভাড়াও। গাড়ির দাম বৃদ্ধির বিষয়টি আগামী বছরও অব্যাহত থাকবে। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। গাড়ি নির্মাতারা হারনেস, প্লাস্টিক ও কাচের ঘাটতিরও মুখোমুখি হচ্ছেন। গাড়ির বাইরে খামারের সরঞ্জাম ও শিল্প যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে খেলাধুলার পোশাক ও রান্নাঘরের জিনিসপত্রেরও তীব্র ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/15368244.jpg[/IMG]