ইন্টারনেট সেবা সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সারাদেশে ইন্টারনেটের একই সেবামূল্য নির্ধারণের পাশাপাশি নতুন কিছু নির্দেশনা দেয় সংস্থাটি। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, টানা একদিন ইন্টারনেট সেবা বিচ্ছিন্ন থাকলে গ্রাহকের কাছ থেকে ওই মাসে মোট বিলের ৫০ শতাংশ নিতে পারবে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান। টানা দুই দিন ইন্টারনেট না থাকলে নিতে পারবে মাসিক বিলের ২৫ শতাংশ । তিন দিন ইন্টারনেট না থাকলে সে মাসে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান কোনো টাকাই নিতে পারবে না। গত মঙ্গলবার বিটিআরসির পক্ষ থেকে এ নির্দেশনা পাঠানো হয় সব ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের (আইএসপি) কাছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, গত ৬ জুন ‘এক দেশ, এক রেট’ কর্মসূচি চালু করা হয়েছিল। সেই কর্মসূচির আওতায় ঘোষণা করা হয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সেবামূল্য। গত জুনে ‘এক দেশ, এক রেট’ কর্মসূচির আওতায় পাঁচ এমবিপিএস (মেগাবিট পার সেকেন্ড) মাসে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা, ১০ এমবিপিএস মাসে সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএস মাসে সর্বোচ্চ ১ হাজার ২০০ টাকা ঘোষণা করা হয়। শেয়ারড বা ভাগাভাগির (১:৮) ব্যান্ডউইথের ক্ষেত্রে সারাদেশেই একই মূল্যে ইন্টারনেট নির্ধারণ করা হয়।
নতুন নির্দেশনায় আরও বলা হয়, সেবাদাতারা অনুমোদিত প্যাকেজের আদলে নতুন নতুন প্যাকেজ দিতে পারবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই গতির সর্বনিম্ন সীমা পাঁচ এমবিপিএস ঠিক রাখতে হবে। যেকোনো নতুন প্যাকেজের জন্যও অনুমোদন নিতে হবে। এর বাইরে কোনো প্যাকেজ দিলে ব্যবস্থা নেবে কমিশন। এ ছাড়া অনুমোদিত সেবামূল্য আইএসপির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।বিটিআরসির হিসাবমতে, গত আগস্ট শেষে ১ কোটি ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে দেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। করোনাকালে যা দাঁড়িয়েছে দ্বিগুণে। নতুন নির্দেশনা নিয়ে বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র বলেন, ‘গ্রাহকদের সেবা নিশ্চিত করতে নানান উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
এ ব্যাপারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সরবরাহকারীদের সংগঠন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক গণমাধ্যমে বলেন, নতুন নির্দেশনা নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই। তবে অনিবার্য কারণে ইন্টারনেট সেবা ব্যাহত হলে কী হবে, সে বিষয়ে আরও স্পষ্ট নির্দেশনার প্রয়োজন।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/382065451.jpg[/IMG]