দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে বৃহত্তম সংকোচনের মুখে পড়েছে থাইল্যান্ডের অর্থনীতি। ন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল (এনইএসডিসি) জানিয়েছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশটির জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) সংকোচন হয়েছে ১২ দশমিক ২ শতাংশ। মূলত ১৯৯৮ সালে এশীয় আর্থিক সংকটের পর থাইল্যান্ডের অর্থনীতিতে এটিই সবচেয়ে বড় সংকোচন, যা চলমান মন্দা পরিস্থিতিকে আরো গভীরে ঠেলে দিয়েছে। খবর এএফপি ও ব্লুমবার্গ।

সারা বিশ্বের মতোই থাইল্যান্ডেরও এই অর্থনৈতিক সংকটের মূলে রয়েছে মহামারী নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাব। তুলনামূলকভাবে অন্য অনেক দেশের থেকে এখানে করোনায় সংক্রমিত (৩ হাজার ৩০০ জন) ও মৃতের (৫৮ জন) সংখ্যা কম হলেও মারাত্মক স্থবিরতা নেমে আসে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে। বিশেষ করে সংক্রমণ প্রতিরোধে গৃহীত লকডাউনের মধ্যে ধস নামে বৈদেশিক বাণিজ্য ও গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন খাতে।

সত্যি বলতে, পুরো এশিয়ার মধ্যেই বর্তমানে থাইল্যান্ডের অর্থনীতির অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এ বিষয়ে ইকোনমিক কাউন্সিলের মহাসচিব থোসাপোর্ন সিরুিসুমফান্দ বলেন, আমরা অর্থনীতি নিয়ে চিন্তিত। বিশেষ করে কর্মসংস্থান, মন্দ ঋণ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা নিয়ে উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ আছে। এ অবস্থায় চলতি বছর অন্য চালকগুলোর অবস্থা বেশ দুর্বল হওয়ায় মুখ্য অর্থনৈতিক চালকের ভূমিকা পালন করবে সরকারি ব্যয়। কাউন্সিল পুরো বছরের পূর্বাভাসে ৭ দশমিক ৩ থেকে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ অর্থনৈতিক সংকোচনের কথা জানিয়েছে। আগে এ সংকোচনের পূর্বাভাস ছিল ৫-৬ শতাংশ। তবে এনইএসডিসির এ পূর্বাভাস নিঃসন্দেহে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৮ দশমিক ১ শতাংশ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ৮ দশমিক ৫ শতাংশ পতনের পূর্বাভাসের চেয়ে ভালো।

বণিক বার্তা