মহামারীর বিধ্বস্ত অবস্থা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্রুতগতিতে বেড়েছে অর্থনৈতিক কার্যক্রম। তুমুল ভোক্তা চাহিদা মেটাতে আমদানি বাড়াতে হয় ওয়াশিংটনকে। ফলে রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছায় দেশটির পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি। তবে এ পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হতে শুরু করেছে। তিন মাস পর ফেব্রুয়ারিতে নিম্নমুখী হয়েছে পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি। যদিও এখনো ঘাটতির পরিমাণ সর্বোচ্চ উচ্চতার কাছাকাছিই রয়ে গেছে। বিপুল এ ঘাটতি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমিয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। খবর রয়টার্স।

সম্প্রতি প্রকাশিত মার্কিন বাণিজ্য বিভাগের প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কভিডের বিপর্যয় কাটিয়ে গত মাসে ব্যবসাগুলোর পুনরুদ্ধার অব্যাহত রয়েছে। যদিও পুনরুদ্ধারের এ গতি ২০২১ সালের শেষ দিক থেকে ধীর হয়েছে।

জেপি মরগানের অর্থনীতিবিদ ড্যানিয়েল সিলভার বলেন, আমরা মনে করি পণ্য বাণিজ্যের এ ব্যবধান প্রথম প্রান্তিকের জিডিপি প্রবৃদ্ধি থেকে ২-৩ শতাংশ পয়েন্ট বিয়োগ করতে পারে। যদিও পণ্যের মজুদ শক্তিশালী হবে বলে মনে হচ্ছে।

বাণিজ্য বিভাগ জানিয়েছে, গত মাসে পণ্য বাণিজ্য ঘাটতি ১০ হাজার ৬৬০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এটি আগের মাসের তুলনায় দশমিক ৯ শতাংশ কম। জানুয়ারিতে এ ঘাটতি সর্বকালের সর্বোচ্চ ১০ হাজার ৭৬০ কোটি ডলারে পৌঁছেছিল। গত মাসে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি কিছুটা শ্লথ হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ১৫ হাজার ৭২০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছে দেশটি। রফতানির এ পরিমাণ আগের মাসের তুলনায় ১ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। অর্থনীতিবিদরা বিশ্বাস করেন, রফতানির এ পরিসংখ্যান মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য করা হয়নি। সুতরাং পরিমাণ না বাড়লেও দাম বাড়ার কারণে রফতানি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।

তাছাড়া গত মাসে কানাডীয় ট্রাকচালকদের ধর্মঘটের কারণে মার্কিন-কানাডা সীমান্ত বন্ধ থাকায় রফতানি বাড়ার গতি ধীর হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে পণ্য রফতানি বাড়ার ফলে ভোগ্যপণ্যের চালান ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে খাদ্য রফতানি ৩ দশমিক ৬ শতাংশ এবং শিল্প খাতের চালান ২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। যদিও চিপ সংকটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় গাড়ি রফতানি সংকুচিত হয়েছে। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ি রফতানি আগের মাসের তুলনায় ৩ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। এছাড়া মূলধনি ও অন্যান্য পণ্য রফতানিও যথেষ্ট পতন হয়েছে।

বণিক বার্তা