চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে। এ সময়ে আর্থিকের বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলোর করপূর্ব মুনাফা ২৮ লাখ ৩২ হাজার কোটি ইয়েনে (২০ হাজার ৩০০ কোটি ডলার) উন্নীত হয়েছে। এ মুনাফার পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। ডলারের বিপরীতে ইয়েনের বিনিময় হারে পতন এবং কভিডজনিত প্রতিবন্ধকতায় পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সংস্থাগুলোর মুনাফায় উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াতে এবং চাহিদা পুনরুদ্ধারের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। এতে সংস্থাগুলোর মূলধন ব্যয় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ১০ লাখ ৬১ হাজার কোটি ইয়েনে পৌঁছেছে। এ নিয়ে টানা পঞ্চম প্রান্তিকে মূলধন ব্যয় ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।
কভিডজনিত বিপর্যয় কাটিয়ে পুনরুদ্ধার হচ্ছে জাপানের অর্থনীতি। ডলারের বিপরীতে ইয়েনের বিনিময় হার ২৪ বছরের সর্বনিম্নে দাঁড়িয়েছে। ফলে রফতানির মাধ্যমে আয় বেড়ে যাওয়ায় বড় নির্মাতারা লাভবান হচ্ছে। যদিও প্রতিষ্ঠানগুলোর জ্বালানি, কাঁচামাল ও খাদ্য আমদানি ব্যয় বেড়ে গিয়েছে। ফলে প্রাকৃতিক সম্পদে পিছিয়ে থাকা দেশটিতে আমদানির পেছনে অনেক বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। এ সময়ে উৎপাদন ও পরিষেবা উভয় খাতের মুনাফাতেই উল্লম্ফন হয়েছে। দুই খাতের করপূর্ব মুনাফা ১৯৫৪ সালে সর্বশেষ তথ্য পাওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ। উৎপাদন খাতের করপূর্ব মুনাফা বার্ষিক ১১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ১১ লাখ ২৩ হাজার কোটি ইয়েনে উন্নীত হয়েছে। যেখানে উৎপাদন খাতের বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা ১৭ লাখ ৯ হাজার কোটি ইয়েনে পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি।
এপ্রিল-জুন সময়ে উৎপাদন খাতের মূলধন ব্যয় ১৩ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে ৩ লাখ ৮৬ হাজার কোটি ইয়েনে পৌঁছেছে। যখন উৎপাদন খাতের বাইরের প্রতিষ্ঠানগুলোর মূলধন ব্যয় গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ লাখ ৭৫ হাজার কোটি ইয়েনে অপরিবর্তিত রয়েছে। ৩০ জুন শেষ হওয়া তিন মাসে বিক্রি ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ৩৩৬ দশমিক ৯৬ ট্রিলিয়ন ইয়েনে উন্নীত হয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/476852344.jpg[/IMG]