ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। তিনি দেশটিতে আমদানি হওয়া পণ্যের ওপর ১০-২০ শতাংশ শুল্ক ও চীন থেকে আমদানীকৃত পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলেছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ শুল্কনীতি বাস্তবায়ন হলে অন্যান্য দেশের মতো জাপানের রফতানিও উল্লেখযোগ্য হারে প্রভাবিত হতে পারে। জাপান ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের গবেষক নাওকো ফুনাতসু বলেন, ‘উচ্চ শুল্ক আরোপের এ বাণিজ্য নীতি জাপানের অটোমোবাইল শিল্পের জন্য বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। মেক্সিকো থেকে আমদানীকৃত গাড়ির ওপর ১০০ শতাংশ শুল্কারোপের বিষয়ে ট্রাম্পের মন্তব্য জাপানি গাড়ি নির্মাতাদের জন্য উদ্বেগজনক। কারণ কিছু জাপানি গাড়ি নির্মাতা কোম্পানির কারখানা মেক্সিকোয় অবস্থিত। এসব কারখানায় উৎপাদিত গাড়ি মূলত যুক্তরাষ্ট্রে রফতানির উদ্দেশ্যে তৈরি হয়।’
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/598528409.jpg[/IMG]
ডাই-ইচি লাইফ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের অর্থনীতিবিদ কোইচি ফুজিশিরো বলেন, ‘২০০০ সালের পর থেকে জাপানের গাড়ি নির্মাতারা উত্তর আমেরিকায় উৎপাদন বাড়িয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এখনো জাপান থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ গাড়ি রফতানি করা হয়।’ তিনি জানান, প্রতি বছর জাপানের মোট অটোমোবাইল রফতানির পরিমাণ প্রায় ১৩ ট্রিলিয়ন ইয়েন বা ৮ হাজার ৪৬০ কোটি ডলার, যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশই যুক্তরাষ্ট্রে রফতানি করা হয়।