Diversification বা বৈচিত্র্য একটি গুরুত্বপূর্ণ রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কৌশল, যার মাধ্যমে ট্রেডার তার সম্পূর্ণ মূলধন একক কোনো ট্রেড বা অ্যাসেটে বিনিয়োগ না করে বিভিন্ন ট্রেডে ভাগ করে দেয়। এর মূল উদ্দেশ্য হলো—ঝুঁকি কমানো এবং একটি ট্রেডে যদি ক্ষতি হয়, তাহলে অন্য ট্রেড থেকে লাভের মাধ্যমে সেটি পুষিয়ে নেওয়া যায়। উদাহরণস্বরূপ, কেউ যদি শুধু XAUUSD তেই বড় অঙ্কের লট নিয়ে ট্রেড করে এবং মার্কেট হঠাৎ তার বিপরীতে যায়, তবে একবারেই বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। অথচ সে যদি একই মূলধনের মধ্যে XAUUSD, EURUSD ও USDJPY—এই তিনটি আলাদা পেয়ার বেছে নেয় এবং সেগুলোর মধ্যে সম্পর্ক (correlation) বিবেচনায় নিয়ে ছোট ছোট লটে ট্রেড করত, তবে একটি পেয়ার লস করলেও অন্য পেয়ার লাভ দিতে পারত। Diversification শুধুমাত্র বিভিন্ন ট্রেড ওপেন করাকে বোঝায় না, বরং বিভিন্ন ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি, টাইমফ্রেম এবং এমনকি বিভিন্ন মার্কেট সেশনের মধ্যেও ব্যালেন্স রক্ষা করাকে বোঝায়। তবে খেয়াল রাখতে হবে—সব পেয়ার বা অ্যাসেট একসাথে ট্রেড করলেও যদি সেগুলো পরস্পরের সাথে বেশি কোরিলেটেড হয় (যেমন XAUUSD ও EURUSD অনেক সময় একই দিকে চলে), তাহলে তা আসলে Diversification নয়। বরং এটি এক ঝুঁকিকে একাধিক ট্রেডে ছড়িয়ে দেওয়া মাত্র। তাই বুদ্ধিমত্তার সাথে, ভালোভাবে মার্কেট অ্যানালাইসিস করে, সম্পর্কহীন বা কম সম্পর্কযুক্ত অ্যাসেট বেছে নিয়ে Diversification করা উচিত। এটি ট্রেডারকে মানসিক চাপ কমাতে এবং একাধিক উৎস থেকে লাভ পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করতে সহায়তা করে।