কভিড-১৯ মহামারীজনিত বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে আগেভাগে পুনরুদ্ধার শুরু হওয়া দেশগুলোর তালিকায় শীর্ষে আছে চীন। গত বছরের মাঝামাঝি থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। শিল্প উৎপাদন ও রফতানিতে কয়েক দশকের মধ্যে রেকর্ড সৃষ্টি করে দেশটি। তবে অর্থনীতির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ গ্রাহকব্যয়ে এখনো পিছিয়ে রয়েছে চীন। ফলে দেশটির অর্থনীতি অসম এক পুনরুদ্ধারের পথে হাঁটছে। খবর ব্লুমবার্গ।

গত মাসে রফতানি ও আবাসন খাত চাঙ্গা থাকলেও পূর্বাভাসের চেয়ে পিছিয়ে আছে খুচরা বিক্রি। সুতরাং বছরের প্রথম প্রন্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) পর এপ্রিলেও চীনের পুনরুদ্ধার ভারসাম্যহীন অবস্থায় রয়েছে। গত বছরের তুলনায় এপ্রিলে শিল্প উৎপাদন ৯ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে, যেখানে ১০ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল। পাশাপাশি দেশটির খুচরা বিক্রি ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। ২৫ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাসের তুলনায় এ খাতের পুনরুদ্ধার ধীর অবস্থায় রয়েছে। পূর্বাভাসের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বছরের প্রথম চার মাসে স্থিত সম্পদ বিনিয়োগ ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া এ সময়ে দেশটির বেকারত্বের হার ৫ দশমিক ১ শতাংশ ছিল।

এ তথ্যগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে, চীন বিশ্বজুড়ে প্রবৃদ্ধির চালক এবং পণ্যগুলো চাহিদার উৎস হিসেবে রয়ে গেছে। নীতিনির্ধারকদের প্রণোদনা কমিয়ে আনা এবং গ্রাহকরা ব্যয় করতে সতর্ক থাকার পরও অর্থনৈতিক ব্যাপ্তি এরই মধ্যে শক্ত অবস্থানে পৌঁছেছে।

সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান পিনপয়েন্ট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রধান অর্থনীতিবিদ ঝিওয়ে জাং বলেন, প্রথম প্রান্তিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্ভবত শীর্ষে উঠেছিল। আমরা আশংকা করছি, আগামী মাসগুলোয় দেশটির প্রবৃদ্ধি ধীর হবে। তিনি বলেন, চীনে নতুন সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে নীতিনির্ধারকদের সতর্ক থাকতে হবে এবং শক্তিশালী এ আর্থিক নীতি ধরে রাখতে হবে।

বণিক বার্তা