এক সময় ‘স্পেস লেজার’ শব্দটিকে বিবেচনা করা হতো ভবিষ্যৎপন্থী কৌতুক হিসেবে। তবে, এ প্রযুক্তিরই বাস্তবিক ব্যবহার দেখিয়েছে অ্যামাজন, যা গোটা বিশ্ববাসীর জন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিতে পারে। এর আগেও এ লেজার প্রযুক্তি ব্যবহার করতে দেখা গেছে নাসাকে, যেখানে সাগরের প্ল্যাঙ্কটন নিয়ে গবেষণা চালানো ও মহাকাশ বর্জ্য বিস্ফোরণের মতো পরিকল্পনা করেছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি। নিজস্ব স্যাটেলাইটে আন্তঃসংযোগ ব্যবস্থা বা ‘ওআইএসএল’ তৈরির লক্ষ্যে অক্টোবরে ‘প্রজেক্ট কুইপার’ প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছিল অ্যামাজন। এ প্রকল্পে উচ্চক্ষমতার লেজার ব্যবহারের মাধ্যমে নিজস্ব নেটওয়ার্কগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যস্থির করেছে কোম্পানিটি। [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1759232489.jpg[/IMG]
প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ প্রযুক্তির সহায়তায় আগের চেয়ে দ্রুতগতিতে, এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে দুর্গম জায়গাগুলোতেও ডেটা পাঠানো সম্ভব। অক্টোবরে দুটি প্রোটোটাইপ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছিল অ্যামাজন। এর এক মাস পরই খবর আসে, তাদের এ পরীক্ষা সফল হয়েছে, যেখানে প্রতি সেকেন্ডে ডেটা আদান প্রদানের গতি গিয়ে পৌঁছেছিল ১০০ গিগাবিট পর্যন্ত। “এ পরীক্ষায় আমরা দুটি স্যাটেলাইটের মধ্যে উভয় দিকেই ডেটা আদানপ্রদানে সক্ষম হয়েছি। আর এর প্রাথমিক তথ্য থেকে ইঙ্গিত মিলেছে, আমাদের এ নকশা একাধিক স্যাটেলাইটের মধ্যে সংযোগ বজায় রাখার ক্ষেত্রেও কার্যকর ভূমিকা রাখবে, যা বিবেচিত হচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মের ‘নেটওয়ার্ক কাঠামো’ হিসেবে।” --বলেছে অ্যামাজন।