বিলাসী গাড়ির বাজারে ফেরারির নামডাক একদম প্রথম সারিতে। এ গাড়ি নির্মাতার পক্ষে আছেন এমন একদল ক্রেতা, যাদের ওপর মূল্যস্ফীতি, সুদহার বা মূল্যবৃদ্ধি কোনো ধরনের প্রভাব ফেলে না। তাই উৎপাদন খরচ ও বাজারমূল্য নিয়ে তেমন ভাবতে হয় না ইতালির কোম্পানিটিকে। এই যেমন ফেরারির সর্বশেষ মডেল ১২ সিলিড্রি স্পোর্টস কারের প্রারম্ভিক মূল্য ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২৩ হাজার ডলার। এছাড়া স্পাইডার কনভার্টিবল সংস্করণের দাম পড়বে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ডলারের বেশি। নতুন এ গাড়িতে ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ ঘটিয়েছে ফেরারি, যা ষাটের দশকের ট্যুরিং কারের স্মৃতি ফিরিয়ে আনবে। দুই সিটের এ গাড়ির দাম পোরশে এজির চার গুণ। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটারিচালিত গাড়ির দিকে নজর দিলেও অত্যন্ত লাভজনক হওয়ায় এখনো সনাতনী জ্বালানি ইঞ্জিনের ওপর নির্ভর করছে ফেরারি। ফর্মুলা ওয়ান গ্র্যান্ড প্রিক্সকে সামনে রেখে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে এ গাড়ি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। এর ১২ সিলিন্ডার ইঞ্জিনে থাকছে ৮১৯ হর্সপাওয়ার সক্ষমতা। গাড়িটির প্রাথমিক সংস্করণ বাজারে আসবে চলতি বছরের শেষ দিকে, আর ছাদ খোলা যায় এমন কনভার্টিবল পাওয়া যাবে আগামী বছরের শুরুতে। এদিকে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) খাত থেকে নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে ফেরারির মতো কোম্পানিগুলো। গত ফেব্রুয়ারিতে চীনের বিওয়াইডি ২ লাখ ৩৩ ডলারের বেশি মূল্যে বিলাসী ইভি বাজারে ছাড়ে, যা ফেরারি ও ল্যাম্বরগিনির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। দুই কোম্পানিই জানিয়েছে, কয়েক বছরের মধ্যে তারা হাইব্রিড গাড়ি আনতে যাচ্ছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1224364736.jpg[/IMG]