বিশ্বের শীর্ষ ধনীরা তাদের মোট সম্পদের সামান্য কিছু অংশ ব্যয় করলেই বিশ্বের ক্ষুধা সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে বলে মনে করেন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির পরিচালক ডেভিড বিয়াসলে। সিএনএনকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি এসব কথা বলেছেন।

ডেভিড বিয়াসলে বলেন, বিশ্বের অতি ধনীদের নেয়া ক্ষুদ্র উদ্যোগেই ক্ষুধা সমস্যার সমাধান হতে পারে। আর এজন্য তাদের ব্যয় করতে হবে মোট সম্পদের অতি সামান্য অংশ। বিশেষ করে বিশ্বের শীর্ষ দুই ধনী জেফ বেজোস ও ইলোন মাস্কের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রধান বলেন, বিশ্বে এ মুহূর্তে এমন ৪ কোটি ২০ লাখ মানুষ আছেন যাদের কাছে এখনই আমরা যদি পৌঁছতে না পারি তাহলে তারা মৃত্যুর দিকে ধাবিত হবে। এদের সহায়তার জন্য প্রয়োজন মাত্র ৬০০ কোটি ডলার।

ব্লুমবার্গের তথ্য অনুসারে টেসলার প্রধান ইলোন মাস্কের মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ২৮ হাজার ৯০০ কোটি ডলার। বলা হচ্ছে, বিশ্বজুড়ে মহামারী শুরুর পর ইলোন মাস্কের সম্পদ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউট ফর পলিসি স্টাডিজের তথ্য বলছে, অক্টোবর শেষে তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়াবে ৫ দশমিক শূন্য ৪ ট্রিলিয়নে। ডেভিড বিয়াসলে কেবল এ সম্পদের ২ শতাংশ অনুদান হিসেবে দিতে বলছেন। আর এতেই মিটবে বিশ্বের ক্ষুধার সমস্যা।

একদিকে মহামারীর সময়ে যেমন ইলোন মাস্কের সম্পদ বেড়েছে, তেমনি অসংখ্য মানুষ অতি দরিদ্র হয়েছে। অনেক দেশই দাঁড়িয়ে আছে দুর্ভিক্ষের দোরগোড়ায়।

বণিক বার্তা