গত জুলাইয়ে চীনের কারখানায় উৎপাদন গত বছরের একই মাসের চেয়ে মাত্র ৫ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে খুচরা বিক্রি কিছুটা পতন হয়েছে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে নভেল করোনাভাইরাস মহামারী এখনো যে মারাত্মক প্রভাব রাখছে, তার ইঙ্গিত এতে সুস্পষ্ট। খবর এপি।

শুক্রবার প্রকাশিত উপাত্তে দেখা গেছে, রফতানি চাঙ্গা হলেও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটির অভ্যন্তরীণ চাহিদা দুর্বল ছিল। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বড় আকারের বন্যায়ও উৎপাদন ও ভোক্তা চাহিদা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবশ্য এতে খাদ্যমূল্যের দাম চড়া হয়েছে। শূকরের মাংসের দাম প্রায় ৮৬ শতাংশ বেড়েছে।

এক প্রতিবেদনে অ্যাক্সিকর্পের শীর্ষ কর্মকর্তা স্টিফেন ইনস বলেন, খুচরা বিক্রির উপাত্ত উদ্বেগের বিষয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে এবং অধিক প্রণোদনা ও বিলাসবহুল পণ্যে বড় আকারের ডিসকাউন্ট সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ যে কেনাকাটায় এগোচ্ছে না, তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

জুলাইয়ে শিল্প উৎপাদন গত বছরের একই মাসের চেয়ে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ কমেছে। অবশ্য তা ৫ শতাংশ পূর্বাভাসের চেয়ে কিছুটা কম।

গত মার্চে প্রথম কোনো দেশ হিসেবে স্বাভাবিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করে। গত ডিসেম্বরে উহান শহর থেকে শুরু হওয়া নভেল করোনাভাইরাস মহামারী তখন নিয়ন্ত্রণে আনার দাবি করেছিল চীন। ম্যানুফ্যাকচারিং খাত চাঙ্গা হতে শুরু করলেও ভোক্তাব্যয় দুর্বল রয়েছে। অনেক চীনা তাদের চাকরি হারিয়েছে, অনেকের আয় কমেছে এবং আগামী দিনগুলো নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন।

বণিক বার্তা