রেস্তোরাঁর রান্নাঘর, কারখানার মেঝে কিংবা ই-কমার্স কেন্দ্রগুলোর চিত্র পাল্টে দিয়েছে কভিড-১৯ মহামারী। এসব কার্যক্রমে মহামারীটি রোবট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটাতে বাধ্য করেছে। ফলে কর্মীরা এখন ম্যানুয়াল কিংবা পুনরাবৃত্তিমূলক কাজ থেকে মুক্ত হয়ে উচ্চ উৎপাদনের দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন। একই সময়ে ক্লাউড কম্পিউটিং ও ভিডিও কনফারেন্স সফটওয়্যার বিশ্বজুড়ে অগণিত মানুষকে ঘরে বসে কাজ করতে সক্ষম করেছে। অফিসের যাতায়াতে সময় অপচয় ও ব্যয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংস্থাগুলোর মুনাফাও বেড়েছে বলে মনে করা হয়। কভিড-১৯ সংকট এভাবে প্রযুক্তি রূপান্তরকে ত্বরান্বিত করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করছে। এমনকি এটি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরিপক্ব অর্থনীতিতেও প্রবৃদ্ধির গতিকে ত্বরান্বিত করেছে। খবর ব্লুমবার্গ।

সম্প্রতি প্রকাশিত ম্যাককিনসে গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, এ প্রবণতার সংমিশ্রণটি ২০২৪ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপের উৎপাদনশীলতার গতিকে বছরে প্রায় ১ শতাংশ পয়েন্ট বাড়িয়ে তুলবে। এটা প্রাক-মহামারীতে বৃদ্ধির গতির চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। ম্যাককিনসে গ্লোবাল ইনস্টিটিউটের অংশীদার জান মিশচকে বলেন, প্রযুক্তির এ ত্বরণ এমন একটি বিষয়, যা বাস্তব ও দীর্ঘস্থায়ী অবদান রাখে।

গোল্ডম্যান স্যাকসের অর্থনীতিবিদরাও এ বিষয়ে একমত প্রকাশ করেছেন। গত ২৫ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে তারা পূর্বাভাস দিয়েছেন, ই-কমার্সে স্থানান্তর, কর্মক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশন এবং অলাভজনক সংস্থাগুলো সংকুচিত কিংবা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানব ও বিনিয়োগ মূলধন পুনরায় বরাদ্দ করার মতো বিষয়গুলো ২০২২ সালের মধ্যে মার্কিন উৎপাদনশীলতা কমপক্ষে ২ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে তুলতে পারে।

গত ডিসেম্বরে ম্যাককিনসের জরিপে ১ হাজার ৪০০ জন নির্বাহীর তিন-চতুর্থাংশই ২০২০-২৪ সালের মধ্যে নতুন প্রযুক্তিতে বিনিয়োগের প্রত্যাশা করেছেন। যেখানে ২০১৪-১৯ সালে এ বিনিয়োগ বেড়েছিল ৫৫ শতাংশ।

বণিক বার্তা