ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ বা টিপিপি চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এটি পুরনো আলাপ। নতুন বিষয় হলো, এর ফলে যে অর্থনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়েছে সেটি পূরণ করতে নতুন ইন্দো-প্যাসিফিক অংশীদারিত্ব সৃষ্টির উদ্যোগ নিয়েছে দেশটি। বলা হচ্ছে, মূলত চীনের উত্থান ঠেকাতে এ উদ্যোগ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর নিক্কেই এশিয়া।

ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কের পরিকল্পনা বিস্তারের কাজে কিছুদিন আগেই এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী গিনা রাইমন্ডো ও দেশটির বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথরিন তাই। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনও চলতি মাসের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া সফরে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রাথমিক কাজটুকু করেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এসব কাজের মূল লক্ষ্য চীনকে কড়া জবাব দেয়া। দেশটি চায়, সরবরাহ চেইনকে যতটুকু সম্ভব চীনের প্রভাবমুক্ত করতে। মার্কিন পরিকল্পনা অনুযায়ী, নতুন অংশীদারিত্বের কাঠামো এমনভাবে সাজানো হবে, যেন এর ভেতর তথ্য ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের জন্য সাধারণ কিছু নিয়ম অন্তর্ভুক্ত থাকে। সাম্প্রতিক মালয়েশিয়া সফরে গিনা রাইমন্ডো একটি চিপ কারখানা পরিদর্শন করেছেন, যেটি মহামারীর কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। সে সময়ই তিনি সরবরাহ চেইন সুরক্ষার বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি অবকাঠামোগত সহায়তার বিষয়টিও গুরুত্ব পাবে। খাতটিতে এরই মধ্যে চীন দারুণ অগ্রগতি দেখিয়েছে।

এশিয়ার দেশগুলোতে সবসময়ই বিদেশী বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হয়। ফলে এবারো যদি যুক্তরাষ্ট্র অবকাঠামো, টেলিযোগাযোগসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে, তাহলে সেক্ষেত্রে অংশীদারিত্বে সমস্যা সৃষ্টি হবে না বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বণিক বার্তা