কভিডের বিপর্যয় কাটিয়ে শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়ায় চীনা অর্থনীতি। গত বছরের শুরুতে বাণিজ্যে রেকর্ড প্রবৃদ্ধির দেখা পায় দেশটি। তবে বছরের শেষ দিকে কিছুটা ধীর হয় আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য। চলতি বছরের শুরুতেও সেই শ্লথগতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি ইউক্রেন সংকট বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিটির বাণিজ্য প্রবৃদ্ধি নিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছে।

রয়টার্সের খবর অনুসারে, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে চীনের রফতানি-আমদানি বাণিজ্যে প্রবৃদ্ধির গতি কমেছে। যদিও এ সময়ে দেশটির রফতানি প্রবৃদ্ধি অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাসকে ছাড়িয়ে গেছে। তবে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন চলতি বছর বিশ্ব বাণিজ্যের প্রাক্কলনে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

চীনা শুল্ক কর্তৃপক্ষের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে ৫৪ হাজার ৪৭০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছে চীন। রফতানি আয়ের এ পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। রফতানি প্রবৃদ্ধির এ গতি অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশা ১৫ শতাংশকে ছাড়িয়ে গেলেও ডিসেম্বরের ২০ দশমিক ৯ শতাংশের চেয়ে ধীর। কভিডজনিত বিধিনিষেধ শেষে বিশ্বজুড়ে তুমুল ভোক্তা চাহিদা চীনের পণ্য রফতানি বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করেছে।

এ সময়ে ৪২ হাজার ৮৭০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে চীন। আমদানির এ পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। যদিও অর্থনীতিবিদরা ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ আমদানি বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। এ হার ডিসেম্বরে ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির চেয়েও অনেক ধীর।

বণিক বার্তা