প্রচলিত কাজের ধরন থেকে বেরিয়ে এসে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) হাইব্রিড কাজের মডেলের দিকে ঝুঁকছে। মূলত এর মাধ্যমে সুবিধা অনুযায়ী, নিজেদের পছন্দমতো কাজ করার স্থান ও সময় বেছে নেন কর্মীরা। দেশটির অধিকাংশ নিয়োগকর্তার মতে, শিগগিরই হাইব্রিড কাজের মডেল অনুসরণ না করলে ভবিষ্যতে নতুন ও পুরনো কর্মী হারাতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে খবর খালিজ টাইমস।

কভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবে ঘরে বসেই কাজ করার অভিনব পদ্ধতি শুরু হয়। এর জের ধরেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে হাইব্রিড কাজের ধরন। মহামারী কিছুটা স্তিমিত হয়ে এলেও হাইব্রিড কাজের প্রতি কর্মীদের আগ্রহ কমেনি। পলি রিসার্চের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই এ পরিবর্তনকে সাধুবাদ জানিয়েছে। ৮৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দাবি, হাইব্রিড কাজের কারণে কার্যক্ষমতা বেড়েছে। পলি রিসার্চের গবেষণা বলছে, নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণপ্রবাহ কমার পর সপ্তাহে মাত্র তিনদিন অফিসে গিয়ে কাজ করছেন কর্মীরা।

এ বিষয়ে দুবাইয়ের প্লাম জবস প্রতিষ্ঠানের সিইও দিপা সুড বলেন, বহু প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্রমেই স্থায়ী হচ্ছে হাইব্রিড কাজের ধরন। প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনার নেতৃত্ব পর্যায়ে নতুন এ ধরনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর চেষ্টা করছে তারা। পাশাপাশি প্রযুক্তি খাতেও বিনিয়োগ করছে সংস্থাগুলো। ফলে কর্মীদের কার্যক্ষমতাও বাড়ছে। এছাড়া হাইব্রিড কাজের কর্মীদের বেতনেও তারতম্য দেখা গেছে। যাতায়াত ব্যয় কমে যাওয়ায় তাদের বেতন বৃদ্ধিও শ্লথগতিতে হচ্ছে।

পলি স্টাডির সমীক্ষা বলছে, ইউএইর ২৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠান সপ্তাহে অন্তত তিনদিন কর্মীদের অফিসে গিয়ে কাজ করার অনুমতি দেয়।

এদিকে হাইব্রিড কাজকেই চূড়ান্ত লক্ষ্য বলে মনে করেন না পলির জনসংযোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি জন গুডউইন। বরং প্রতিযোগী পরিবেশ সংস্থাগুলোর জন্য প্রথম ধাপ হিসেবে আখ্যা দেন তিনি। যেসব প্রতিষ্ঠান কর্মীদের কর্মপরিবেশ ও কাজের ধরনের বিষয়ে নমনীয় সেসব প্রতিষ্ঠানের প্রতি কর্মীরা অনুগত।

বণিক বার্তা