ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর থেকেই ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানির দাম। রাশিয়া সম্পূর্ণভাবে সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে এমন উদ্বেগের মধ্যে ইউরোপে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের দাম বাড়ছে। ক্রমবর্ধমান রয়েছে জ্বালানির বাইরের পণ্যের দামও। পাশাপাশি অঞ্চলটির বৃহত্তম রফতানি বাজার যুক্তরাষ্ট্রে ভোক্তা চাহিদায় পতন দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ইউরোপীয় অর্থনীতিতে মন্দার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। জাপানি বিনিয়োগ ব্যাংক নোমুরার মতে, চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই এ অঞ্চলের অর্থনীতিতে সংকোচন দেখা দেবে। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

নোমুরার আশঙ্কা, ২০২৩ সালের গ্রীষ্ম পর্যন্ত ইউরোপীয় অর্থনীতিতে মন্দা অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ে অঞ্চলটির মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ১ দশমিক ৭ শতাংশ সংকুচিত হবে। কভিডজনিত লকডাউন তুলে নেয়ার পরে ২০২১ সালের মাঝামাঝি থেকেই শীর্ষ অর্থনীতিগুলোয় জ্বালানি দাম ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। তবে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পরে সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তায় জ্বালানির দাম ত্বরান্বিত হয়।

ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর থেকেই পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার বিস্তৃত খাতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এমনকি দেশগুলো রুশ জ্বালানি আমদানি বন্ধ করতেও চেষ্টা করছে। যদিও দেশগুলো এখনো জ্বালানি সরবরাহ নিয়ে রাশিয়ার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। এর প্রতিক্রিয়ায় মস্কোও ইউরোপের কয়েকটি দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। পাশাপাশি সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দিতেও হুমকি দিচ্ছে দেশটি। এরই মধ্যে রাশিয়া নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইনের মাধ্যমে জার্মানিতে, তুর্কস্ট্রিম পাইপলাইনের মাধ্যমে বুলগেরিয়ায় এবং ইয়ামাল পাইপলাইনের মাধ্যমে পোল্যান্ডে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

বণিক বার্তা