থাইল্যান্ড ও প্রতিবেশী ভিয়েতনামে কার্যক্রম সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছে থাই রিটেইল কনগ্লোমারেট সেন্ট্রাল গ্রুপ। কভিডজনিত মহামারী শেষে চাহিদা বাড়বে এমন আশায় আগ্রাসী পদক্ষেপ নিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
নিক্কেই এশিয়ার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রুপের মূল খুচরা বিক্রেতা শাখা সেন্ট্রাল রিটেইল ভিয়েতনামে বিনিয়োগের জন্য ৩ হাজার কোটি বাথ (৮৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার) বরাদ্দ রেখেছে। এর মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরে বার্ষিক বিক্রি ১০ হাজার কোটি বাথে উন্নীত করতে চায় সংস্থাটি। বর্তমানে দেশটিতে বার্ষিক বিক্রির পরিমাণ ৩ হাজার ৮৬০ কোটি বাথ। বার্ষিক প্রতিবেদনে এ ব্যবসায়িক কৌশল তুলে ধরেছে সংস্থাটি।
তবে সেন্ট্রালের এ পরিকল্পনা বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসের সঙ্গেও মিলে যায়। বিশ্লেষকরা আশা করছেন, ভিয়েতনামের স্থিতিস্থাপক অর্থনীতি মহামারীর পরে ক্রমবর্ধমান থাকবে। দেশটির খুচরা খাত প্রতি বছর ৯ শতাংশ হারে বেড়ে ১৫ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে।
ক্যাসিকর্ন রিসার্চ সেন্টারের একজন বিশ্লেষক বলেন, ভিয়েতনামের রিটেইল খাতে সেন্ট্রালের শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে। দুই দশকেরও বেশি সময় আগে গ্রুপটি দেশটিতে ব্যবসা শুরু করেছিল। বিক্রি বাড়াতে সংস্থাটি এখন দোকানের পাশাপাশি অনলাইন বিভাগে মনোযোগ দেবে।
ভিয়েতনামে সেন্ট্রাল রিটেইলের ৩৪০টি মল ও দোকানের পাশাপাশি গো! মল, নিগুয়েন কিম, সুপারস্পোর্টস, টপ মার্কেট নামে ১০টি খুচরা ব্র্যান্ড রয়েছে। এগুলো ইলেকট্রনিকস, স্পোর্টসওয়্যার থেকে মুদিখানা পর্যন্ত বিস্তৃত। বিপবিপ নামে প্রতিষ্ঠানটির খাবার ও মুদি কেনাকাটার ই-কমার্স প্লাটফর্মও রয়েছে। এটির ১২ হাজারেরও বেশি ধরনের পণ্য এবং ১ কোটি ২০ লাখ শক্তিশালী গ্রাহক রয়েছে।
সেন্ট্রাল রিটেইলের আশা, ৩ হাজার কোটি বাথ বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ভিয়েতনামের বৃহত্তম খাদ্য ও বাড়ি কেনাকাটার প্লাটফর্ম হয়ে উঠবে। বিদ্যমান কার্যক্রম সম্প্রসারণের পাশাপাশি সংস্থাটি নতুন ব্যবসা অধিগ্রহণেরও চেষ্টা করবে। সংস্থাটির লক্ষ্য, মোট বিক্রিতে ভিয়েতনামের কার্যক্রমের অবদান ২৫ শতাংশে উন্নীত করা। বর্তমানে এটি সংস্থাটির মোট আয়ে ২০ শতাংশ অবদান রাখে।