চীনজুড়ে দেখা দিয়েছে খরা। তীব্র দাবদাহের কারণে বেড়ে গিয়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। যদিও খরার কারণে ব্যাহত হচ্ছে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন। বিদ্যুৎ ঘাটতিতে কার্যক্রম বন্ধ করতেও বাধ্য হয় দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কারখানাগুলো। পাশাপাশি এখনো কভিডজনিত প্রতিবন্ধকতা অব্যাহত রয়েছে। বারবার কভিডজনিত লকডাউন ও বিধিনিষেধের কারণে বিভিন্ন শহরে স্থবিরতা তৈরি হয়। এ অবস্থায় চীনের শিল্প মুনাফায় পতন অব্যাহত রয়েছে। গত মাসে এ খাতের মুনাফার পরিমাণ ব্যাপক হারে কমে গিয়েছে। খবর রয়টার্স।

গতকাল ন্যাশনাল ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস (এনবিএস) জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে শিল্পোৎপাদন খাতের মুনাফা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১ দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। যদিও বছরের প্রথমার্ধে মুনাফার পরিমাণ ১ শতাংশ বেড়েছিল। জুলাইয়ে এ মুনাফায় বড় পতন পুরো সাত মাসের প্রবৃদ্ধি মুছে দিয়েছে। যদিও দেশটির পরিসংখ্যান সংস্থাটি গত মাসের একক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি। এ হিসাবে বার্ষিক ২ কোটি ইউয়ান (৩০ লাখ ডলার) আয় করা প্রতিষ্ঠানগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

নতুন করে কভিডের সংক্রমণ দেখা দেয়ায় শেনজেন ও তিয়ানজিনের মতো প্রধান উৎপাদন কেন্দ্রগুলোয় কারখানা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে। গত মাসে দেশটির শিল্পোৎপাদন ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে। যদিও জুনে এ হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল।

বণিক বার্তা