কভিডজনিত বিধ্বস্ত অবস্থা থেকে আগেভাগে পুনরুদ্ধার হওয়া অন্যতম দেশ চীন। গত বছরের মাঝামাঝি থেকেই দেশটি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। এরই মধ্যে কভিডজনিত বাধাগুলো কাটিয়েও উঠেছে চীন। তবে কাঁচামালের উচ্চ ব্যয় ও বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন ব্যাহতের মতো নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। ধীরগতি দেখা গেছে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধিতে। এটিকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাঁচামালের উচ্চ দামের কারণে টানা চার মাসের মতো জুনেও চীনের শিল্প খাতের মুনাফা প্রবৃদ্ধির ধীরগতি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল প্রকাশিত চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর (এনবিএস) তথ্য অনুযায়ী, জুনে শিল্প খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা ১২ হাজার ২২৭ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এ মুনাফার পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। এর আগে মে মাসে মুনাফা প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ।

চীনা অর্থনীতি মূলত মহামারী সৃষ্ট বাধাগুলো থেকে পুনরুদ্ধার হয়েছে। তবে কয়েক মাস ধরে দেশটি বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন ব্যাহত এবং কাঁচামালের উচ্চ ব্যয়ের সংকটে পড়েছে। রফতানি ও উৎপাদন সম্পর্কিত অঞ্চলে সাম্প্রতিক বন্যা এবং কভিডের সংক্রমণ বৃদ্ধিও মুনাফা হ্রাসে অবদান রেখেছে।

এনবিএসের একজন প্রবীণ পরিসংখ্যানবিদ জু হং বলেন, করপোরেট মুনাফা পুনরুদ্ধারে এখনো অসমতা বিদ্যমান। বেসরকারি সংস্থা ও ছোট ব্যবসাগুলো ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার হচ্ছে। পণ্যের উচ্চ দাম অব্যাহত রয়েছে। ফলে ব্যবসায়ের মুনাফা কমে গেছে। এছাড়া সরবরাহ চেইন ও শিল্প চেইনে এখনো দুর্বল পয়েন্ট রয়েছে।

বণিক বার্তা