সামাজিক মাধ্যম জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানটির এক ব্লগ পোস্টে বলা হয়, ডেটা বেহাত হওয়া ঠেকাতে ২০১৮ সালের এপ্রিলে নিজেদের সেবায় পরিবর্তন আনা হলেও সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি জানতে পেরেছে যে কিছু অ্যাপ এ ধরনের ডেটা নিয়ে থাকতে পারে। ইতোমধ্যেই তারা এই অ্যাকসেস সরিয়ে নিয়েছে বলেও দাবি করেছে ফেইসবুক— খবর সিএনবিসি’র।

গ্রাহকের ডেটা অ্যাকসেস করে থাকতে পারে এমন ১০০ ডেভেলপারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ফেইসবুক। অন্তত ১১ ডেভেলপার শেষ দুই মাসের মধ্যে এমন ডেটা অ্যাকসেস করেছেন বলেও নিশ্চিত করা হয়েছে।

“যদিও ডেটা অপব্যবহারের কোনো প্রমাণ মেলেনি, আমরা তাদেরকে সংগৃহীত ডেটা মুছে ফেলতে বলবো এবং সেগুলো মুছে ফেলা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করতে নিরীক্ষণের ব্যবস্থা করবো,”-- বলেছে ফেইসবুক।

এ ঘটনায় ঠিক কতো সংখ্যক গ্রাহক আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন তা নিশ্চিত করেনি সামাজিক মাধ্যমটি।

২০১৮ সালের মার্চ মাসে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা তথ্য কেলেঙ্কারির ঘটনা সামনে আসার পর সফটওয়্যার ডেভেলপারদের জন্য ডেটার অ্যাকসেস সীমিত করে আসছে ফেইসবুক। ওই সময় অন্যায়ভাবে আট কোটি ৭০ লাখ ফেইসবুক গ্রাহকের ডেটা অ্যাকসেস করে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ২০১৬ মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছে এমন প্রমাণ মেলার সম্ভাবনা রয়েছে।

চলতি বছর সেপ্টেম্বরে ফেইসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয়, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারির পর তদন্তের অংশ হিসেবে হাজারো অ্যাপ বাতিল করা হয়েছে। ফেডারেল ট্রেড কমিশনের সঙ্গে এই তথ্য কেলেঙ্কারির মামলা মীমাংসায় জুলাই মাসে ৫০০ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা দিতে রাজি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর