ইউরোপীয় দেশগুলোয় ভয়াল থাবা বসিয়েছে নভেল করোনাভাইরাস। প্রাণঘাতী ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে কঠোরভাবে লকডাউন পালন করছে দেশগুলো। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ভেঙে পড়েছে চাহিদা ও সরবরাহ ব্যবস্থা। স্থবিরতা নেমে এসেছে উৎপাদন কার্যক্রমে। আর এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অর্থনীতি।

করোনা মহামারীতে ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইতালি ও স্পেন। এ অঞ্চলে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি এ দুটি দেশেই। স্বাভাবিক কারণেই করোনায় তাদের অর্থনৈতিক ক্ষতি সবচেয়ে বেশি।

মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতিকে টেনে তুলতে বিভিন্ন দেশের সরকার নিজ নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন প্রণোদনামূলক প্যাকেজ গ্রহণ করছে। তবে করোনা-পরবর্তী মন্দা ঠেকাতে সমন্বিত তহবিল গঠনের আহ্বান জানিয়েছে ইতালি ও স্পেনের মতো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো। তবে জার্মানি, নেদারল্যান্ডসের মতো অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকা দেশগুলো এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে।

ঐক্যবদ্ধভাবে কীভাবে করোনার অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবেলা করা যায় এবং বেশি ক্ষতিগ্রস্ত সদস্য দেশগুলোকে কীভাবে সুরক্ষা দেয়া যায়, সে বিষয়ে আলোচনার জন্য ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বৈঠকে বসেছেন ইউরো অঞ্চলের অর্থমন্ত্রীরা। মঙ্গলবার এ বৈঠক শুরু হয়। কিন্তু সেদিনের বৈঠকে কোনো ঐকমত্য তৈরি না হওয়ায় গতকাল ফের আলোচনায় বসেন তারা। গতকালের আলোচনাতেও কোনো গঠনমূলক ফল আসেনি। বরং ‘করোনাবন্ড’ ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে ইউরো অঞ্চলের উত্তর ও দক্ষিণের দেশগুলো।

বণিক বার্তা