জানুয়ারির শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের কারখানা ও ম্যানুফ্যাকচারিং কার্যক্রম ১৪ বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। কিন্তু কভিড-১৯ মহামারীর কারণে সরবরাহ চেইনে ব্যাঘাত ঘটায় মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সামনের মাসগুলোতে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। খবর রয়টার্স।

শুক্রবার প্রকাশিত অন্য একটি পরিসংখ্যান বলছে, ব্যবহূত বাড়ি বিক্রি অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়েছে। নভেল করোনাভাইরাস দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে দারুণভাবে সাহায্য করেছে ম্যানুফ্যাকচারিং ও আবাসন খাত। তবে মহামারীর কারণে নির্মাণ স্থাপনা এবং কারখানাগুলোতে শ্রমিক সংকটও দেখা গেছে, যা নির্মাণ ও আবাসন খাতের শক্তিকে কিছুটা হলেও হ্রাস করতে পারে।

উপাত্ত সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আইএইচএস মার্কিট বলছে, চলতি মাসের প্রথমার্ধে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতের পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্সে (পিএমআই) সূচক ৫৯ দশমিক ১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, যা কিনা ২০০৭ সালের মে মাসের পর সর্বোচ্চ। ডিসেম্বর মাসে এ খাতের পিএমআই ছিল ৫৭ দশমিক ১ পয়েন্ট।

অর্থনীতিবিদরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, সূচক জানুয়ারির শুরুতে ৫৬ দশমিক ৫ পয়েন্টে নামতে পারে। মূলত ৫০-এর ওপরে যেকোনো সূচক উৎপাদন সম্প্রসারণকেই ইঙ্গিত করে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির ১১ দশমিক ৯ শতাংশ।

আইএইচএস মার্কিটের জরিপে কারখানাগুলোর পাওয়া নতুন অর্ডারগুলোও খতিয়ে দেখেছে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরের পর যা এখন সর্বোচ্চ অবস্থানে গিয়ে পৌঁছেছে। চাহিদার এ বৃদ্ধি বিদ্যমান এবং নতুন গ্রাহকের আগ্রহকে প্রতিফলিত করছে। এছাড়া মহামারীর কারণে আগে স্থগিত করে রাখা কিছু অর্ডারও এখন নিতে শুরু করেছেন গ্রাহকরা। যার ফলে নতুন করে এ মাস থেকে আবার কর্মী নিয়োগ দিতে শুরু করছে কিছু প্রতিষ্ঠান। কারখানার কর্মসংস্থান সূচকও ডিসেম্বরের ৫২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ৫৪ দশমিক ৮ শতাংশে গিয়ে পৌঁছেছে। সব মিলিয়ে কারখানাগুলো এখন দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে। কিন্তু মহামারী সরবরাহ চেইনকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। যে কারণে প্রস্তুতকারকদের কাঁচামালের পেছনে অধিক খরচ করতে হচ্ছে। এখন তারা অতিরিক্ত উৎপাদন খরচ গ্রাহকদের কাছ থেকে পুষিয়ে নেয়ার পথে হাঁটছে।

বণিক বার্তা