EUR/USD পেয়ারের পর্যালোচনা, ৫ জুন
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/155184117.jpg[/IMG]
মঙ্গলবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের অযৌক্তিক মুভমেন্ট অব্যাহত রয়েছে। এবারও সকাল থেকেই এই পেয়ারের দরপতন শুরু হয়। মনে রাখবেন যে আগের দিন, মার্কিন আইএসএম পিএমআই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার মুহূর্ত থেকে ইউরোর মূল্য বাড়তে থাকে। আমরা এই বিষয়টি তুলে ধরতে চাই যে এই বিশেষ প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে অত্যন্ত শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। সাধারণত, যেকোন প্রতিক্রিয়া 1-2 ঘন্টা স্থায়ী হয়, কিন্তু এইবার মার্কেটে 4-5 ঘন্টা ধরে ডলার বিক্রি হচ্ছি, যা মার্কেটে ইউরো ক্রয় এবং ডলার বিক্রির প্রবণতা প্রদর্শন করে। এবং যদি তাই হয়, ইউরোর মূল্য যে কোনো অবস্থাতেই বাড়তে থাকবে। মনে করে দেখুন যে এই পেয়ারের মূল্যের সাম্প্রতিক ঊর্ধ্বমুখী, যা এখনও একটি কারেকশন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে (যেমনটি স্পষ্টভাবে 24-ঘন্টার টাইমফ্রেমে দেখা যাচ্ছে), অসংখ্য প্রশ্ন উত্থাপন করে। আগামীকাল ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক প্রথমবারের মতো সুদের হার কমানোর ঘোষণা দিতে পারে, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা এ ব্যাপারে মোটেও আগ্রহী নয়। যদি ইসিবির প্রত্যেকের প্রত্যাশা অনুযায়ী সুদের হার না কমানো হয়, তাহলে কোন সন্দেহ নেই যে আমাদের জন্য EUR/USD পেয়ারের মূল্যের আরেকটি ঊর্ধ্বগতি অপেক্ষা করছে। এবার মঙ্গলবারে ফিরে যাওয়া যাক। দিনের বেশির ভাগ সময় ইউরোর দরপতন হচ্ছিল, যার কোন কিছুরই ইঙ্গিত দেয় না। এটি শুধু একটি সাধারণ রিট্রেসমেন্ট ছিল, আর কিছুই নয়। আপনি যদি 16 ই এপ্রিল থেকে আজকে পর্যন্ত পুরো সময়কাল ঘনিষ্ঠভাবে লক্ষ করেন, তবে এটি স্পষ্ট যে এই পেয়ারের মূল্য ক্রমাগত কমে গেছে, কিন্তু এই রিট্রেসমেন্টগুলো এতটাই দুর্বল ছিল যে এটি একটি ধারণা তৈরি করেছিল যে এই পেয়ারের মূল্য ক্রমাগত বেড়েছে। দেড় মাস ধরে, এই পদ্ধতিতে ইউরোর মূল্য প্রায় 300 পিপ যোগ করতে পেরেছে। এই পেয়ারের মূল্য প্রতিদিন প্রায় 10 পিপস করে বৃদ্ধি পায়। তদুপরি, আমরা ইতোমধ্যেই নির্ধারণ করেছি, এই পেয়ারের মূল্য প্রায় সবসময় এক দিকে চলে গেছে। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা বেশ কম ছিল, মূল্যের মুভমেন্ট অনিয়মিত কিন্তু বুলিশ প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। আমাদের মতে, এই পেয়ারের মূল্য শুধুমাত্র অযৌক্তিক মুভমেন্টই প্রদর্শন করে না (যেহেতু এটি সুস্পষ্ট মৌলিক পটভূমিকে উপেক্ষা করছে), বরং এটি ট্রেড করাও বেশ অসুবিধাজনক হয়ে উঠেছে। যদি মূল্যের মুভমেন্ট শক্তিশালী এবং অস্থির হয়, তবে প্রত্যেক দিনই লাভ করা যেতে পারে। আবার যদি এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার সাথে মুভমেন্ট দেখা যায় এবং অস্থিরতার সাথে কারেকশন করা হয়, তাহলে মূল মুভমেন্ট এবং কারেকশন উভয়ের ক্ষেত্রেই ট্রেড করা যেতে পারে। এর পরিবর্তে, আমরা ক্রমাগত পরিবর্তনশীল ছোট মুভমেন্ট দেখতে পাচ্ছি। এই পেয়ারের মূল্য 40 পিপস বাড়ে, তারপর 30 পিপস কমে যায়। শুধুমাত্র 80-100 পিপস লাভ করার জন্য ট্রেডারদের ক্ষুদ্র মুভমেন্টগুলো কাজে লাগাতে হবে বা কয়েক সপ্তাহ ধরে একটি ট্রেডে থাকতে হবে। এবং আমরা উল্লেখ করতে চাই যে এই মুহূর্তে ইউরোর লং পজিশন ধরে রাখা অত্যন্ত কঠিন হয়েছে, কারণ মৌলিক পটভূমি এই ইঙ্গিত দেয় যে এই পেয়ারের দরপতন হতে পারে, সেইসাথে এই পেয়ারের মূল্যের বর্তমান উত্থান মূলত কারেকশনের একটি অংশ।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/790505002.jpg[/IMG]
5 জুন পর্যন্ত গত পাঁচ দিনের ট্রেডিংয়ে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের গড় অস্থিরতা হল 65 পিপস, যা গড়পরতা মান হিসাবে বিবেচিত হয়। আমরা আশা করি যে বুধবার এই পেয়ারের মূল্য 1.0814 এবং 1.0944 লেভেলের মধ্যে মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে। হায়ার লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল নিচের দিকে যাচ্ছে, তাই বিশ্বব্যাপী এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী প্রবণতা অটুট রয়েছে। সিসিআই সূচক মে মাসে ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছে, যা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের সূত্রপাত করেছে। যাইহোক, বুলিশ কারেকশন দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থায়ী হয়েছে তাই এটি যে কোনো সময় শীঘ্রই শেষ হবে এমন আশা করা কঠিন। নিকটতম সাপোর্ট লেভেল: S1 - 1.0864 S2 - 1.0803 S3 - 1.0742 নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল: R1 - 1.0925 R2 - 1.0986 R3 - 1.1047
ট্রেডিংয়ের পরামর্শ: EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে, কিন্তু বুলিশ কারেকশন অটুট রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য মুভিং এভারেজ লাইনের উপরে রয়েছে, কিন্তু ইউরোর মূল্য এই লাইনে নিচে নেমে গেলেও নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হচ্ছে না। মাঝারি মেয়াদে ইউরোর মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হওয়া উচিত, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা প্রায় প্রতিটি ইভেন্টের ফলাফলকে ডলারের বিপরীতে ব্যাখ্যা করছে। আমরা মনে করি যে এই ধরনের পরিস্থিতি চিরকাল স্থায়ী হবে না। মূল্য মুভিং এভারেজের নিচে কনসলিডেট হলে আপনি ইউরো বিক্রি করার কথা বিবেচনা করতে পারেন। এই পেয়ারের মূল্য কমতে থাকলে, আগামী কয়েক মাসে ইউরো অনেক সস্তা হতে পারে, কারণ মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি ডলারকে সমর্থন করে। 24-ঘন্টার টাইমফ্রেমেও বিশ্বব্যাপী এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে। কিন্তু এই মুহূর্তে, বুলিশ প্রবণতা রয়ে গেছে, এবং বিশুদ্ধ প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ শুধুমাত্র 1.0925 এবং 1.0944-এর লক্ষ্যমাত্রায় এই পেয়ার কেনার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
চিত্রের ব্যাখা: লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল - বর্তমান প্রবণতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। যদি উভয়ই একই দিকে পরিচালিত হয়, তাহলে এর অর্থ হল বর্তমানে প্রবণতা শক্তিশালী। মুভিং এভারেজ লাইন (সেটিংস 20.0, স্মুথেদ) – স্বল্পমেয়াদী প্রবণতা এবং বর্তমানে কোন দিকে ট্রেডিং করা উচিত তা নির্ধারণ করে। মারে লেভেল - মুভমেন্ট এবং কারেকশনের লক্ষ্য মাত্রা। অস্থিরতার মাত্রা (লাল লাইন) - সম্ভাব্য প্রাইস চ্যানেল যেখানে এই পেয়ারের মূল্য পরের দিন অবস্থান করবে, যা বর্তমান অস্থিরতা সূচকের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়। সিসিআই সূচক – এই সূচকের ওভারসোল্ড জোনে (-250-এর নীচে) বা ওভারবট জোনে (+250-এর উপরে) প্রবেশের মানে হল যে চলমান প্রবণতা বিপরীতমুখী হতে যাচ্ছে।
*
https://ifxpr.com/3KqZgke
 
                    
 
 
 
		
		 Thread:
		Thread: 

 
			 
             
			 
			
			
