নভেল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে যুক্তরাজ্যে চলছে চার সপ্তাহের লকডাউন। কম গুরুত্বপূর্ণ দোকানপাটগুলো এ সময় বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এতে কঠিন বিপাকে পড়েছে খুচরা পণ্য বিক্রেতা স্টোরগুলো। বড়দিনের আগে এটা তাদের জন্য রীতিমতো বিপর্যয়কর। তাই যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রেতা, বার ও রেস্টুরেন্টগুলোর মালিকরা রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসছেন। খবর ব্লুমবার্গ ও টেলিগ্রাফ।

অনেক খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এখনো প্রথম লকডাউনের ধাক্কাটাই সামলে উঠতে পারেনি, এরই মধ্যে এসে পড়ল আরেক লকডাউন। কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান র জন্য নতুন এই লকডাউন বিপর্যয় ডেকে আনছে, বিশেষ করে লকডাউন যদি চার সপ্তাহেরও বেশি সময় স্থায়ী হয়। যুক্তরাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রী মাইকেল গোভ এমন ইঙ্গিত অবশ্য দিয়ে রেখেছেন।

ইউরোপে কভিড-১৯ সংক্রমণ নতুন করে বেড়ে যাওয়ার কারণে যুক্তরাজ্য ছাড়াও ফ্রান্স, জার্মানি ও মহাদেশের অন্য কয়েকটি দেশ নতুন করে লকডাউন ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রেতারা বিশেষভাবে নাজুক অবস্থার মধ্যে পড়ে গেছেন, কেননা সেখানে আগে থেকেই মহোৎসাহে অনলাইন শপিংয়ের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। এতে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বিএইচএস ও হাউজ অব ফ্রেজারের মতো পরিচিত রিটেইল শপগুলো।

প্রাইমার্ক ডিসকাউন্ট ফ্যাশন চেইনের মালিক অ্যাসোসিয়েটেড ব্রিটিশ ফুড পাবলিক লিমিডেট কোম্পানি সোমবার এক বিবৃতিতে বলেছে, ইউরোপিয়ান লকডাউনের কারণে তাদের বিক্রি ৫৭ শতাংশের মতো কমে যাবে এবং এর অর্থমূল্য প্রায় ৩৭ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ড।

ডিপার্টমেন্ট-স্টোর পরিচালনাকারী জন লুইস পার্টনারশিপ পিএলসির সাবেক ডেপুটি চেয়ারম্যান মার্ক প্রাইস বলছেন, খুচরা বিক্রেতাদের ওপর লকডাউন বিরাট প্রভাবই ফেলতে চলেছে, কেননা খাবারের দোকান ছাড়া অন্য খুচরা পণ্যগুলো নভেম্বর ও ডিসেম্বরে তাদের বার্ষিক মুনাফার ৮০ শতাংশ আয় করে।

বণিক বার্তা