এখন থেকে ব্রিটেন আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) অন্তর্ভুক্ত নয়। যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) রাত ১১টার পর আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয় দীর্ঘ ৪৭ বছরের সম্পর্ক। এদিন সকালে রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ফলে ব্রেক্সিট চুক্তি ব্রিটেনে আইনে পরিণত হয়। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে অনুমোদন পেয়ে আইনে পরিণত হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট-পরবর্তী বাণিজ্য চুক্তিটি এখন কার্যকর।

এর আগে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ৫২১-৭৩ ভোটে দ্রুতই চুক্তিটি অনুমোদন পায়। এর ফলে যুক্তরাজ্য-ইইউ'র মধ্যে পণ্য বাণিজ্যে কোন শুল্ক থাকবে না। তবে, নিরাপত্তাজনিত কারণ ও কাস্টমস ছাড়পত্রের জন্য সীমান্ত পারাপারকালে নতুন ধরনের চেকিংয়ের (পরীক্ষা-নিরীক্ষা) দরকার হবে। যুক্তরাজ্য থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাণিজ খাবার রপ্তানির ক্ষেত্রে নতুন বিধি নিষেধ আরোপ হবে। যেমন, রান্নাছাড়া মাংস, সসেজ বা বার্গার ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে সংরক্ষণ করা হলে তা যুক্তরাজ্য থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে ঢুকবে না।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, 'এর মধ্য দিয়ে ব্রিটেনের ভবিষ্যত এখন সুদৃঢ়ভাবে আমাদের হাতেই রইল।'

তবে ব্রিটেনের মন্ত্রীরা সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছেন, নতুন আইনের ফলে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হতে পারে দেশটিকে। বিরোধীরা বলছেন, ইইউ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে আলাদা হয়ে যাওয়ায় যুক্তরাজ্য নানা সঙ্কটের পড়বে। এদিকে, ব্রিটেনকে দীর্ঘদিনের বন্ধু আখ্যা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ইইউভুক্ত দেশ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।