যুক্তরাজ্যে মহামারী শুরুর পর এক-তৃতীয়াংশের বেশি ক্রেতাকে নগদ টাকা লেনদেন করা থেকে আটকানো হয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে এখন যুক্তরাজ্যের ক্যাশ নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত লাখো মানুষকে বাঁচানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর এএফপি।

ভোক্তাস্বার্থ রক্ষাকারী সংগঠন ‘হুইচ?’-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একই সঙ্গে নানা ধরনের বক্তব্য সামনে আসা নগদ লেনদেন হ্রাস পাওয়ার জন্য দায়ী। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড (বিওই) অবশ্য শুরু থেকেই বলেছে নগদ টাকা লেনদেন করা কম ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষত বাজারের ঝুড়ি এবং দোকানের পণ্যগুলোর তুলনায় তো বটেই।

হুইচের করা একটি জরিপে ৩৪ শতাংশ উত্তরদাতা বলছেন, কেনাকাটা করতে গিয়ে অন্তত একবার হলেও তাদের কাছ থেকে নগদ গ্রহণ না করে ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। বিশেষত মুদি পণ্য কেনার সময় ক্রেতাদের কাছ থেকে নগদ অর্থ গ্রহণ না করার ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। ২৮ শতাংশ উত্তরদাতা এ ধরনের প্রত্যাখ্যানের কথা জানিয়েছেন। পাব ও রেস্টুরেন্টে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন ২৪ শতাংশ ক্রেতা। এছাড়া ২১ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, তারা পরিষ্কারক সামগ্রী কেনার সময় নগদ টাকা প্রদান করতে ব্যর্থ হয়েছেন, অথচ মহামারীর পর এই পরিষ্কারক পণ্যের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা বেশ বেড়ে গিয়েছিল।

নন্দোর এক মুখপাত্র বলেন, করোনার বিরুদ্ধে নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ হিসেবে তাদের চেইনটি শুধু অ্যাপভিত্তিক লেনদেন করছে। যখন পরিবেশ স্বাভাবিক হবে বলে মনে হবে তখনই স্বাভাবিকভাবে নগদ অর্থে লেনদেন হবে।

ভোক্তাস্বার্থ রক্ষাকারী প্রতিষ্ঠানটির প্রত্যাশা, সরকার যেন গত এক বছর যেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান নগদ অর্থ গ্রহণ করেনি, তাদের চিহ্নিত করে। তারা এ সময় সতর্কবার্তা দিয়ে বলে, দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে নগদ অর্থকে হারিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষার অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

বণিক বার্তা