গত বছর ফ্রান্স ও ব্রিটেনে দেউলিয়া হওয়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান র সংখ্যা কমেছে ৪০ শতাংশ। অন্যদিকে পুরো ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) গড়ে দেউলিয়াত্ব কমেছে ২৫ শতাংশ। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রে তৃতীয় প্রান্তিকে গিয়ে দেউলিয়াত্বের সংখ্যা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা কিনা ২০১০ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর সর্বোচ্চ। ধারণা করা হচ্ছে, এ বছরও এই ধারা অব্যাহত থাকবে। মার্কিন আইন সংস্থা পোলসিনেল্লি দ্বারা সমন্বিত এক সূচকে উঠে এসেছে এ তথ্য। খবর নিউইয়র্ক টাইমস।

এই পার্থক্যের বড় কারণ হলো, ইউরোপীয় দেশগুলো ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য ব্যাপক অর্থসহায়তা দিচ্ছে। কিন্তু কারো কারো মনে আবার এই আশঙ্কাও আছে যে ইউরোপের দেউলিয়া অবস্থা এমন নিম্নস্তরে আছে, যা হয়তো গত কয়েক দশকে দেখা যায়নি।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ফ্রান্স মিশনের প্রধান জেফ্রি ফ্রাংকস বলেন, এই পরিসংখ্যানগুলো যেকোনো মূল্যে ব্যবসা ও কর্মীদের রক্ষার যে কৌশল ইউরোপ গ্রহণ করেছে, তা নিয়ে বিতর্কও তৈরি করেছে। ফলে অর্থনীতি হয়তো আরো কম প্রতিদ্বন্দ্বিতা ূর্ণ স্তরে প্রবেশ করবে এবং মহামারী শেষ হয়ে যাওয়ার পর আরো বেশি সরকারি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে।

বণিক বার্তা