স্বল্পমেয়াদে চীনা পণ্যে হয়তো শুল্ক মওকুফ বা প্রত্যাহার করবে না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। তবে বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতি তাদের নিজেদের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনে ঐকমত্যে পৌঁছার ভালো সুযোগ রয়েছে। এমনটাই মনে করছে চীনভিত্তিক থিংকট্যাংক চায়না ফাইন্যান্স ৪০ ফোরাম (সিএফ৪০)। খবর রয়টার্স।

শনিবার চীনা থিংকট্যাংক সিএফ৪০ এক প্রতিবেদনে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের মুক্ত বাণিজ্যের সমর্থকরাও বলছেন, ওয়াশিংটনের উচিত চীনা পণ্যে শুল্ক হ্রাস করা এবং বাণিজ্য উত্তেজনা নিরসনে নতুন আলোচনা শুরু করা। থিংকট্যাংকটির সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বেইজিংয়ের সঙ্গে দফায় দফায় বাণিজ্য আলোচনা করলেও লক্ষণীয় কোনো ফল পায়নি। জো বাইডেন দায়িত্ব নেয়ার পরও চীনা পণ্যে পুরনো শুল্কনীতির হেরফের করেননি। ট্রাম্পের সঙ্গে পলিসিগত দিক থেকে বেশ ভিন্নমত থাকলেও বেইজিংকে চাপে রাখার ব্যাপারে বাইডেন একই পথের পথিক বলে মনে হচ্ছে।

অবশ্য প্রলম্বিত মহামারীতে বিশ্বের অন্যান্য প্রান্তের মতো যুক্তরাষ্ট্রের ওপরও চাপ বাড়ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বেকারত্ব নিরসন এবং অর্থনীতিতে গতিশীলতা নিয়ে আসা এখন বড় চ্যালেঞ্জ। বৈশ্বিক অর্থনীতির পারস্পরিক সম্পর্কের কারণে শুল্ক বোঝা নিরসন করতে ওয়াশিংটনেরই বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

বণিক বার্তা