যুক্তরাজ্যে নভেল করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত নীতিমালা শিথিলের পর থেকেই ব্রিটিশ সংস্থাগুলো ব্যাপক হারে কর্মী নিয়োগ করছে। তবে মহামারী ও ব্রেক্সিটের ফলে এখনো পর্যাপ্ত কর্মী সংকটে ভুগছে দেশটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বেলজিয়ামভিত্তিক পরিষেবা-সংক্রান্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বাইন্ডার ডিজকার ওটে (বিডিও) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটা দেখা যায়। গতকাল প্রতিষ্ঠানটির এ প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

বিডিওর সর্বশেষ ব্যবসায়িক প্রবণতা শীর্ষক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত মাসে ব্রিটিশ কর্মসংস্থানের বাজার অনেকটাই শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছেছে। বিভিন্ন আপ্যায়নসংক্রান্ত খাত যেমন, রেস্তোরাঁ ও বারগুলো কভিডসংক্রান্ত ধারণক্ষমতার সীমা ব্যতীতই পরিচালনার ফলে প্রচুর পরিমাণ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু এর মধ্যেই অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মী সংকটের কথা জানিয়েছে।

বিডিও জানায়, ব্রিটিশ জাতীয় স্বাস্থ্যসেবার কভিডসংক্রান্ত অ্যাপের নির্দেশনা মোতাবেক অনেক কর্মীর স্বেচ্ছায় আইসোলেশন পালন করা এবং ব্রেক্সিটের ফলে ইউরোপের বিভিন্ন স্থান থেকে কর্মী সংগ্রহে প্রতিবন্ধকতার ফলে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি কর্মী সংগ্রহের জন্য প্রতিযোগিতার পাশাপাশি মজুরি বৃদ্ধির মতো অবস্থার সৃষ্টি করেছে, যা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য অস্বস্তির কারণ হিসেবে দেখা দিয়েছে।

জুনের তুলনায় জুলাইয়ে বিডিওর কর্মসংস্থান সূচক ১ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে ১০৭ দশমিক ৬২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। জুনে এ সূচকের পরিমাণ ছিল ১০৬ দশমিক শূন্য ৫। সূচকের এ পরিমাণ চলতি বছরে সর্বোচ্চ পরিমাণ কর্মী নিয়োগের দিকে ইংগিত করে। জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যের ব্যবসায়িক আশাবাদ জুনে রেকর্ড সর্বোচ্চ পরিমাণের চেয়ে হ্রাস পেয়েছে। একই মাসে বিডিওর মুদ্রাস্ফীতি সূচক মূল্যবৃদ্ধির দিকে ইংগিত করে, যা জুনে চার বছরের সর্বোচ্চ পরিমাণ রেকর্ডের কাছাকাছি ছিল।


বিডিওর প্রতিবেদনে জানা যায়, বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে চাপ, ব্রেক্সিটের কারণে প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ পণ্য ও কাঁচামাল আমদানিতে প্রতিবন্ধকতা যুক্তরাজ্যে মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখছে। বিডিওর প্রতিবেদনে জানানো হয়, মজুরি বৃদ্ধির পাশাপাশি কোম্পানিগুলো তাদের কর্মীদের দক্ষতা ও মেধা ধরে রাখতে আরো বেশি অর্থ প্রদান করছে। সম্প্রতি কিছু কোম্পানি চাকরিপ্রত্যাশীদে আকর্ষণের জন্য ১০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত সাইনিং-অন বোনাস প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে।

বণিক বার্তা