চলতি ২০২১ অর্থবছরের (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর) প্রথম ১০ মাসে মার্কিন বাজেট ঘাটতি প্রায় ২ লাখ ৫৪ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে। কভিড-১৯ মহামারী-পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিকে সচল করতে প্রচুর অর্থ ব্যয় ও সহযোগিতা দেয়ার ফলে এ ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে। এটি মার্কিন বাজেটের ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজেট ঘাটতি। খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।

এর আগে গত সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া ২০২০ অর্থবছরে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ১০ হাজার কোটি ডলার। এক প্রতিবেদনে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট জানায়, জুলাই পর্যন্ত মার্কিন বাজেটে যে পরিমাণ ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৫ শতাংশ কম। ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট জানায়, বাজেট ঘাটতির পরিমাণ হ্রাস পাওয়ার কারণে বোঝা যায় মার্কিন অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের ফলে কর আহরণে যথেষ্ট প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে। একই সময়ে প্রণোদনা কার্যক্রম কমে যাওয়ার বিষয়টিও বাজেট ঘাটতি হ্রাসে ভূমিকা রেখেছে।

মার্কিন কংগ্রেস কর্তৃক বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ, বেকারত্ব ভাতা এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে প্রণীত আর্থিক সহায়তা নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রয়োগের ফলে ২০২০ অর্থবছরে বাজেট ঘাটতি পর্বতসম উচ্চতায় পৌঁছেছিল।

এক পূর্বাভাসে মার্কিন কংগ্রেশনাল বাজেট (সিবিও) অফিস জানায়, চলতি অর্থবছরে মার্কিন বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ৩ লাখ কোটি ডলারের সামান্য কিছু কম হতে পারে। একই সঙ্গে ২০২২ অর্থবছরের জন্য বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ আরো কমে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখছে সিবিও। আগামী অর্থবছরে মার্কিন বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ১ লাখ ২০ হাজার কোটি ডলারে নেমে আসতে পারে বলে আশা করছে সিবিও।


তবে এ পূর্বাভাস মার্কিন কংগ্রেসে প্রণীত হতে যাওয়া দুটি বৃহৎ আকারের বিলের প্রভাবের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হয়নি। এসব বিলের একটি মহাসড়ক নির্মাণ ও বিভিন্ন অবকাঠামো সংস্কারসংক্রান্ত ১ লাখ কোটি ডলারের এবং অন্যটি দারিদ্র্য ও জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ ৩ লাখ ৫০ হাজার কোটি ডলারের একটি বিল। কংগ্রেসে দারিদ্র্য ও জলবায়ুসংক্রান্ত এ বিলের নেতৃত্ব দিচ্ছে ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটরা।

বণিক বার্তা