যন্ত্রাংশ ও চিপ ঘাটতির কারণে ভিয়েতনাম ও মালয়েশিয়ার কারখানাগুলোতে গাড়ি উৎপাদন কমিয়েছে টয়োটা। এ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে চলতি ব্যবসায়িক বছরের (১ এপ্রিল থেকে ৩১ মার্চ) উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩ শতাংশ কমিয়েছে জাপানি গাড়ি নির্মাতা সংস্থাটি। নতুন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সংস্থাটি এ বছর ৯০ লাখ গাড়ি উৎপাদন করবে। খবর রয়টার্স।

উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা সংশোধনের পর টয়োটা জানিয়েছে, কভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি এবং চিপ ঘাটতির কারণে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ মুহূর্তে কভিডের সংক্রমণ পুনরুত্থান টয়োটার গাড়ি উৎপাদনে ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলছে।

কভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান উৎপাদন কমাতে বাধ্য হয়েছিল। তবে টয়োটা এতদিন পর্যন্ত উৎপাদন কমানোর বিষয়টি এড়াতে সক্ষম হয়েছিল। ২০১১ সালে উত্তর-পূর্ব জাপানের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে উৎপাদন বিঘ্নের পর মূল উপাদানগুলোর মজুদ শুরু করেছিল টয়োটা।

গতকাল জাপানি সংস্থাটির এ ঘোষণার পর একটি বিষয় স্পষ্ট, বৈশ্বিক গাড়ি শিল্পের কোনো অংশই মহামারীর প্রভাব থেকে রক্ষা পায়নি। মহামারীটি একদিকে বিক্রি কমিয়ে দিয়েছে এবং অন্যদিকে চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে গাড়ি উৎপাদনকে বাধাগ্রস্ত করছে।


আগস্টে বিশ্বের বৃহত্তম গাড়ির বাজার চীনে গাড়ি বিক্রি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় এক-পঞ্চমাংশ কমে গেছে। কারণ গ্রাহকদের কেনার জন্য যানবাহনের পর্যাপ্ত সরবরাহ ছিল না। টয়োটা এখন ২০২২ সালের ৩১ মার্চ শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরে ৯০ লাখ গাড়ি উৎপাদনের আশা করছে। যেখানে এ সময়ে সংস্থাটি ৯৩ লাখ গাড়ি উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়েছিল।

বণিক বার্তা