মোটরসাইকেল ব্যবসায়ের ওপর ক্রমবর্ধমানভাবে নির্ভরশীল হয়ে উঠছে হোন্ডা মোটর। অধিক লাভজনক হওয়ায় এ ব্যবসায়ের দিকে ঝুঁকেছে জাপানি গাড়ি নির্মাতা সংস্থাটি। তবে এ প্রবণতা সংস্থাটির উদীয়মান বৈদ্যুতিক যান ও মহাকাশ উদ্যোগে অনেক বড় প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আগামী বছরের মার্চে শেষ হতে যাওয়া অর্থবছরে হোন্ডার সম্মিলিত নিট মুনাফার পরিমাণ ৫৫ হাজার ৫০০ কোটি ইয়েনে (৪৮৬ কোটি ডলার) পৌঁছবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এ নিট মুনাফার পরিমাণ আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৬ শতাংশ কম। যদিও এর আগে সংস্থাটি নিট মুনাফা বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল। বৈশ্বিক চিপ সংকটের কারণে গাড়ি উৎপাদন কমে যাওয়ায় মুনাফার পূর্বাভাস কমিয়েছে হোন্ডা।

তবে অটোমোবাইল শিল্পের প্রতিবন্ধকতার এ সময়ে নতুন জীবন খুঁজে পেয়েছে মোটরসাইকেল। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় মোটরসাইকেলের বিশাল বাজার তৈরি হয়েছে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২০২১ অর্থবছরের প্রথমার্ধে হোন্ডার দুই চাকার বিভাগে পরিচালন মুনাফার পরিমাণ ১৪ হাজার ৮১০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এ মুনাফার পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ। হোন্ডার ছোট মোটরবাইক ব্রেড অ্যান্ড বাটার মডেলে সাধারণত সেমিকন্ডাক্টর ব্যবহার করা হয় না এবং মডেলগুলো সরবরাহ ঘাটতির বাইরে রয়েছে। ফলে চলতি অর্থবছরে মোট বাইক বিক্রি ১৬ শতাংশ বেড়ে ১ কোটি ৭৫ লাখ ইউনিটে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মোটরসাইকেল বিক্রিতে দীর্ঘদিন ধরেই নেতৃত্বের পর্যায়ে রয়েছে হোন্ডা। গত বছর বিশ্বজুড়ে পুরো মোটরসাইকেল বাজারে সংস্থাটির দখল ছিল ৩৪ শতাংশ। আবার অর্থবছরের প্রথমার্ধে হোন্ডার সম্মিলিত আয়ের ১৫ শতাংশ ছিল মোটরবাইক এবং চার চাকার গাড়ি ব্যবসা থেকে আয়ের তুলনায় এ হার ৬৩ শতাংশ কম। তবে পরিচালন মুনাফার ক্ষেত্রে মোটারসাইকেলের অবদান ৩৪ শতাংশ, যেখানে গাড়ির অবদান ছিল মাত্র ২৭ শতাংশ।

২০১৮ সাল থেকেই হোন্ডার মোটরসাইকেল বিভাগ চার চাকার গাড়ির তুলনায় বেশি মুনাফার জোগান দিচ্ছে। এ বিভাগ এখন আর্থিক পরিষেবা বিভাগের পরই দ্বিতীয় সর্বাধিক লাভজনক হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে মোটরসাইকেল বিভাগের অপারেটিং মার্জিন ছিল ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৮ সালের এপ্রিল-সেপ্টেম্বর সময়ে ১৬ দশমিক ২ শতাংশের পর এটিই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অপারেটিং মার্জিন।

বণিক বার্তা