জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ক্রমবর্ধমান চাপের মুখোমুখি হচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতি। কার্বন নিঃসরণ বন্ধে বিশ্বজুড়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাপ দিচ্ছে সরকারও। এরই অংশ হিসেবে জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত গাড়ি উৎপাদন বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে ফুলেফেঁপে উঠছে কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর। বাজারমূল্য বেড়ে প্রতিষ্ঠানগুলো ছাড়িয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী গাড়ি নির্মাতাদেরও।

আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে সৌদি পিআইএফ সমর্থিত মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা লুসিড মোটরসের বাজারমূল্য বেড়ে ৯ হাজার ১০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এর মাধ্যমে বাজার মূলধনে প্রতিষ্ঠানটি ফোর্ড ও জেনারেল মোটরসকেও ছাড়িয়ে গেছে। সম্প্রতি শেয়ারদর বেড়ে প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্যে ১ হাজার ৭০০ কোটি ডলারেরও বেশি যোগ হয়েছে। ২০২২ সালে ২০ হাজারেরও বেশি যানবাহন উৎপাদন করবে—এমন ঘোষণার পর প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারদরে উল্লম্ফন দেখা দেয়। বিষয়টি বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে প্রতিফলিত করে। কারণ আরো বেশি গ্রাহক জলবায়ুবান্ধব এ গাড়ি কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন।

এর আগে আরেক মার্কিন গাড়ি নির্মাতা রিভিয়ানের শেয়ারদরও ১৫ শতাংশ বেড়েছে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি জার্মান গাড়ি নির্মাতা ফক্সওয়াগনের বাজারমূল্যকে ছাড়িয়ে গেছে। এ সময়ে টেসলার শেয়ারদর বেড়েছে ৪ দশমিক ১ শতাংশ। শেয়ারদর বেড়ে বাজারমূল্যের দিক থেকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম গাড়ি নির্মাতা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে রিভিয়ান। প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য ১৫ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে। টেসলাসহ এ দুই গাড়ি নির্মাতা বাজারমূল্যের দিক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম ১০ গাড়ি নির্মাতার তালিকায় চলে গিয়েছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত বুধবার পর্যন্ত ১ লাখ ৬ হাজার কোটি ডলার বাজারমূল্য নিয়ে শীর্ষে রয়েছে টেসলা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা টয়োটার চেয়ে সংস্থাটির বাজারমূল্য উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি। বর্তমানে জাপানি গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্য ২৬ হাজার কোটি ডলার।

বণিক বার্তা