আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের সংকট তীব্র হয়ে ওঠে সেপ্টেম্বরে। অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন সংস্থাভুক্ত (ওইসিডি) দেশগুলোয় পণ্যটির বাণিজ্যিক মজুদ ছয় বছরের সর্বনিম্নে নেমে আসে। ফলে আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বাজার। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি ইতিবাচক দিকে মোড় নিয়েছে। বৈশ্বিক মজুদ সংকটের অবসান ঘটতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি (আইইএ)।

সম্প্রতি প্রকাশিত বাজার পরিস্থিতি সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, সেপ্টেম্বরে ওইসিডি দেশগুলোর শিল্প খাতে জ্বালানি তেলের মজুদ ৫ কোটি ১০ লাখ ব্যারেল করে কমে যায়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে অপরিশোধিত ও স্বল্প পরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ। মজুদ হ্রাসে প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা রেখেছে ইউরোপ। সেপ্টেম্বরে ওইসিডি দেশগুলোয় জ্বালানি তেলের মজুদ ২৭৬ কোটি ২০ লাখ টনে স্থির হয়, যা গত পাঁচ বছরের গড় মজুদের তুলনায় ২৫ কোটি ব্যারেল কম। পাশাপাশি এটি ২০১৫ সালের পর সর্বনিম্ন মজুদও।

আইইএ বলছে, সেপ্টেম্বরে বৈশ্বিক মজুদ বড় পরিসরে কমে যাওয়ায় বাজার আদর্শগুলোর দাম ব্যারেলপ্রতি গড়ে প্রায় ৯ ডলার করে বেড়ে যায়। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক জ্বালানি তেলের বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮৬ ডলারে উন্নীত হয়। মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ব্যারেলপ্রতি ৮৪ ডলারে পৌঁছে।

তবে প্রাথমিক ও স্যাটেলাইট পর্যবেক্ষণ তথ্য বলছে, অক্টোবরে ওইসিডিসহ বৈশ্বিক মজুদে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। মজুদ বেড়েছে প্রান্তিক হারে। তবে সামনের দিনগুলোয় মজুদ বৃহৎ আকারে বাড়ার সম্ভাবনা দেখছে প্যারিসভিত্তিক সংস্থাটি।

বছর শেষে মজুদের সঙ্গে বাড়বে বৈশ্বিক সরবরাহও। সরবরাহ বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখবে যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও রাশিয়া। এর মানে দাঁড়ায় বছর শেষে বিশ্ববাজারে লক্ষণীয় হারে কমবে জ্বালানি তেলের দাম।

এদিকে কয়েক মাস ধরে বাজারে জ্বালানি তেলের উদ্বৃত্ত থাকতে পারে। এমন প্রত্যাশায় প্রতি মাসে দৈনিক চার লাখ ব্যারেল করে উত্তোলন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তেই অটল জ্বালানি তেল রফতানিকারক দেশগুলোর মিত্র জোট ওপেক প্লাস।

বণিক বার্তা